জলে কি আর বাস করে শামুক খোল?
ডাঙ্গায় কেন গড়াগড়ি খায় শোল!
বটবৃক্ষের ছায়ে কে যে ভিমরি খেলো,
এ পাবনে ধানতো হয়েছে বেশ,
ওরে সখিনা, তাড়াতাড়ি ঘরে তোল।

রাসবিহারীর ভুড়িটা অতিশয় মোটা
তার ওপরে বউটাযে বেজায় ঠোটা
পাশের বাড়ির নিমাই যে কবে
এক রত্তি তেল ধার করেছিলো,
তাইতে দিয়ে যায় অনবরত খোটা।

গনি মিয়ার চালকুমড়ো খাওয়ার বড় ইচ্ছে
তাইতো মাঁচার নিচে বসে নিড়েন দিচ্ছে
ওদিকে বাড়ির বৌঠান লালপেড়ে শাড়িতে
বাগানের ‘পরে এসে, সকাল-বিকেল
বার বার সেই খবরটা নিচ্ছে।

হিসেবের খাতা খুলে বসে আছে মহাজন
এ বছর বড় করে হালখাতা করবে তাই এতো আয়োজন
ওদিকে গফুর মিয়ার বাড়িতে চড়েনাকো হাড়ি
শেফালী কানের দুলটা বিকিয়ে বই কেনে
ওদের খবর রাখার আছে কি কারও প্রয়োজন?

(“মুক্ত বিহঙ্গ” কাব্য থেকে)