কোন এক অবিনাশী তুলিতে, কে যেন এঁকে যায়
আকাশের পরতে পরতে মেঘের ভেলা-
আর তাতে অবিভূত হয়ে, অন্য আর এক শব্দশিকারী
এঁকে যায় তার খাতার পাতায় পাতায়।

কি সে রূপ! এ যেন মায়াবী কোন সংযত
প্রলেপ। তা কোন সীমানা মানেনা,
বিষাদ জানেনা, গর্বিত মোহে লুকোচুরী
খেলে, সোনালী রোদ্দুরের সাথে।

দিবসের নামাবলী গায়ে মেখে, বাহারি প্রজাপতি
সেও ডানা মেলে অজানার পানে,
অবারিত হাসির রত্নকণা ছড়ায়, হিমেল হাওয়ার
পরতে পরতে। ধরাছোঁয়ার বাইরে তো সে।

ওদিকে, রাজসিক বিন্যাসে সতেজ
তরুলতাগুল্ম দোল খায়, দখিনার বায়ে-
দিগন্ত জুড়ে সীমারেখা আঁকে, পরিযায়ী পাখিরা
উড়ে চলে, শূন্যে-মহাশূন্যে, প্রাণের হরষে।

ধরিত্রীর কাটছাঁট মানচিত্রটা
তো তাদের পাখাতেই আঁকা।

(“বাসপ কাব্য সংকলন” থেকে)