কে এসে কবে, ভাঙ্গালো যে ঘুম
সে কোন ঘুমঘোরে-
শুধাবার আগেই, হারালো কোথায়
ভাঙ্গেনি তাই অতি ভোরে।
আশার উনুনে, কে দিলো আগুন
হৃদয়টা যায় পুড়ে-
শাওনের ধারা, বইলো তো চোখে
রইলো তা ক্ষণ জুড়ে।
ওহে অবিশ্রান্ত পথিক! দাঁড়াও
দাঁড়াও হে হেথা ক্ষণিক-
পথের সাথীকে, চিনেছোকি কভু
পথটা তো পৌনঃপুনিক।
আকাশের জল, আকাশেই যদি গড়ায়
হদ্দ চাষার কি হবে?
এলোমেলো চুলে, বিরহিনী হাঁটে
দেখার তো নেই কেউ এই ভবে।
স্বপ্নগুলো কেন, হামাগুড়ি দেয়
কারেই বা এক্ষণে শুধাই-
ভিখিরিনীর থালা, রয়েই গেলো খালি
তাইতো বাড়ে শুধু ক্ষুধাই।
মরমের মাঝে, দগদগে ঘা
বেড়ে গেলো সব ক্ষত-
কারই বা কাছে, আর চাইবো যে কি
অপূর্ণ রয়ে গেলো সব ব্রত।
চোখের কোটরে, জমেছে কালি
মুছবো সেটা কি দিয়ে-
নিয়তির কাছে, বন্দি হয়েছি
সকল কর্মকান্ডসমূহ নিয়ে।
(“বাসপ কাব্য সংকলন” থেকে)