আঁধারকে আর করিনা ভয়,
অনন্তকে করে নিতে পারি জয়।
নক্ষত্রের পরনে, কে যে ছড়িয়ে দিলো
এক সলতে আগুন,
আর তাতে ও, চিরন্তন খুশীতে বিহ্বল হয়ে খসে গেলো
দূরের কোন ছায়াপথে।
শুকনো পাথরে ঘসে যদি
আগুন ধরানো যায়, তবে আমার আঁধার রাত্রিতে
আলো জ্বালাবোনা কেন?
ওদিকে শ্রাবণ রাত্রি একাকী কেঁদে যায়।
লাল গোলাপের পাপড়ি ছিঁড়ে ছিঁড়ে, কি আর
প্রেমের পরিমাপ করা যায়?
প্রেমের আগুনে জ্বলে, বিরহের দহনে জ্বলে-
পুড়ে খাক হয়ে যাকনা, হৃদয়খানি।
আর, সেখানেই উৎপত্তি হবে, নিরন্তর প্রেমের।
জ্বলজ্বলে তারারা কি আকাশের আগুন?
তবে, ওরা কেন শুধুই জ্বলে আর নিভে যায়
কোন এক কৃষ্ণগহ্বরে পড়ার আগ পর্যন্ত-
শত কোটি আলোকবর্ষ দূর হতেও আলোক ছড়ায়।
তেমনি, আমিও চাই একটুকুন আলোক ছড়াতে।
(“দ্বিভূজ” কাব্য থেকে)