গুছগুছ কাশবন মাতোয়ারা
শিমুল পলাশের ছড়াছড়ি
প্রফুল্লতা ছড়ায় চৌদি !
ঝাঁকে ঝাঁকে ধানশালিকেরা
যায় উড়ে দিগদিগন্তে
ফাল্গুনের পড়ন্ত বিকেল
সেঝে দাঁড়িয়েছিলো সবুজ শ্যামলিমা ।
শুভ্র মেঘের ভেলায়
মুক্ত বলাকায় ছুটে চলেছিলে
আপন মনে মেলেছিলে আঁচল ডানা
হেসেমেতে চলেছিলে কাটিয়ে
গুনগুনিয়ে পার করেছিলে স্বপ্নালু দিন রজনী
ওষ্ঠে রাঙ্গা রেখেছিলে স্বপ্নহাসি ধারন।
শ্রী সুন্দর রেশ্মি কালো চুলের বেণী
মায়াভরা টোলপড়া অনিন্দ্য মুখবধন তোমার
লুকিয়ে ফুটেছিল ঐ আব্রুর ঢাকনাখানি।
হঠাৎ এক চৈতালি প্রবনের ধমকা হাওয়া
রক্তিম বর্ণ এলোমেলো করে গেছে এই ধরাধম
নিমিশেই বিষাদের ছায়া ঘনিয়ে এলো
কলঙ্ক মেখে দিল বাংলার আকাশটায়।
কাঁটাতারেমুখোশে ঘেরা একি আবাস নিবাস
তথায় রয়েছে কিসের সংস্কৃতির আলামত
সাঁঝের হায়েনা ছিঁবড়ে খেলো নিস্পাপি ললনাকে।
প্রমান করল আজিকে
কাঁটাতারের মুখোশে ঘেরা স্বাধীন নিবাস ধরণী
শান্ত নিষ্পাপ তনুদের জন্য অনিরাপদ অরক্ষিত।
হিংস্রনখর পশুরুপি মানব করে অত্যাচার
বিবেক মোর খেই হারিয়ে হই অবাক
বৈরি পথের দিনক্ষণ সময় বড্ডই নিশ্চুপ
রয় সাক্ষী শুধু নোনা জলের আঁখি ।
অদ্ভুদ এক অনুভূতি আমার
আরো কী পুড়বে বঙ্গ কন্যা জায়া জননীর কোপাল
সুন্দর ও শালীনতা কিংবা পর্দা প্রথাই তার পথের কাঁটা?
নাকি নিন্দুকের কূটকৌশলে সায় না দেয়াটাই হল তার কাল?
ভাঙ্গামনের রাজত্বে আসে হাজার প্রশ্ন জোয়ার
সপ্নেরা সবি যায় পথ হারিয়ে
খুঁজে পেতে চাই নিথর তনুর জীবন ঠিকানা ।
ঊর্ধ্ব আকাশের দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদি
কেউ হয়তোবা কান্নার ধ্বনি পায় না শোনতে
শূন্য বাতাস এসে মাঝে মাঝে মিলে যায় নির্বিকারে।
(২২/০৩/২০১৬)
-হায়দার ।
বাংলাদেশ ভিউ, র্যু মারকাদ্যে,প্যারিস,ফ্রান্স ।
২৪/০৩/২০১৬