পাথরপফুল্ল চিত্তের বিভীষিকাময় বরফ গলা ক্ষয়
টুকরো টুকরো হল মোর ভাগ্যাকাশ
উপহাস বিদ্রুপের ভাঁজ
জমে রয়েছে হতাশার স্তূপ।
জীবন জীবিকায় স্থায়িত্ব খাড়া থাকতে চায়
অমর অদৃশ্য দেয়াল
স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝে লড়াকু যুদ্ধ
সচেষ্ট রই বাঁচার মতন বাঁচার ।
বিষাদের রাজ্যে ঘুরঘুর করে আঁধার
সঞ্চয় হল বিন্দু বিন্দু কষ্ট স্মৃতি
তিলে তিলে হয়েছিলাম ক্ষত বিক্ষত
নিমজ্জিত হলাম ব্যর্থতার দৌড়প্রান্তে ।
কপাল ভাঙ্গাচাঁদ ন্যায় ঝলসানো রুটি
বিরহক্ষরণ প্রবাহ বহে এই ভঙ্গুর হৃদয়ে
কাকফাটা রোদ্দুরে কোন এক মায়ায়
খুঁজেফিরি স্বপ্ন গানের আসর ।
শ্রাবন ঝরা হাজার দুঃখের ভেতর
তেষ্টা জাগা হৃদয়
নিজেকে সামলে নিতে মনপ্রান আজ বড় ফেরেশান ।
রেশমি ফিতায় আঁটিবাধা কেশবেণী
ছলমল পড়নের নীল শাড়ি
ডাগর আঁখি কোনে মিলে শোভা ইস্পিত চাহুনি
বারেক ফিরে খুঁজেলই ভাবাবেগি চৈতন্য ।
কৃষ্ণকালো ঐ ইশারার প্রলেফ
টলমল শ্রীশোভা নাকের নোলক
দুই কানের উন্মুক্তঝোলা দুল
সাজিয়ে উঠেছে সূরের প্রতিমা ।
মৃদকালো নেত্র পাতা
আঁখিতে রেখেছ ভরে পূর্ণিসম উজ্জ্বল জোছনা
ভাসাভাসা লুকিয়ে ছড়িয়েছিল গোলাপী সুখ
নিমেষে সরে দাঁড়ায় জীবনের অভিমান অভিযোগ ।
তোমার রোদেলা দুপুরের মিষ্টি হাসি
যুগান্তরি আশার প্রতিফলন স্পর্শ লোভী
উত্সাহঘেরা চৈতালি পড়ন্ত বিকেল
ভাবনার রংতুলিতে আঁকা অবশ আকাশ
ঘুমহীন মোর দুটি চোখের ভ্রু নেচে উঠে ।
বৃষ্টি ভেঁজা অলস দুপুর, মেঘলা গুঞ্জরন
শত বাধা প্রতিকুলতা স্বত্বেও
শিখিয়েছ উপায় লড়াই করে বেঁচে থাকার ।
রুপালী সাঁঝকোল ঘেঁসে দিয়েছ উঁকি
ছলছল আনন্দ অশ্রুজলে ভরায় তৃষিত মন
দেখি কান পেতে
কথার মালায় সায়মিলে
বুনিতে রই ভাগ্য ইমারৎ
গোলাপ রাঙ্গা ওষ্ঠে মিলে আশার উল্লাস
জানালে তোমার বৃত্তের আবর্তে- ঘুরে দাঁড়াবার।
(১৪/০১/২০১৬)
-হায়দার।
ডাল্লা'স সৌজন্যে,প্রিন্স ইউজেন;প্যারিস,ফ্রান্স । ১৪/০১/২০১৬ ভোর ০৩.৩০মি