ঘুঙুরের তালে তাল মিলিয়ে দুলিয়ে কল্পনার কোমর চেয়েছ হতে নীলকান্তমনি
ময়ূরী নাচে তুলেছ বিদ্যুত্ বেগে মনোখেয়ায় এক নিরুদিষ্ট পাল,
কাল নাগিনী দেবে ছোবল অন্তর তলে ডেকেছিল গোপন ভাঁর।

ঐ কাজল কলো আঁখি দ্ধয়ের দুষ্ট ইশারায় ভুলিয়ে
গুচ্ছ গুচ্ছ কদর্য কথারাশি দিয়ে সাজিয়ে রেখেছ লোভাতুর মায়াবি মালা,
ত্যাগিয়ে হায়া মায়া, ছিলে লুকিয়ে শকুনি স্বভাব,
তারই পরশে দিবসের সচছ আলোরশ্মি থেকে থেকে
কর্নে পৌঁছায় বিষের জ্বালা।

নর্তন-কুর্দন ডঙ্গে রঙ্গ করে বাক্য প্রাচীর চূর্ণ করে
দর্প করেছ নাসিক্যের নাঙ্গা বচনে,
মোহ খোঁজার তরে তুমিই আধূরী মুহূর্তে হও ইথারের তরঙ্গ তালে প্রমোদ বালা।
স্বপ্নঘোড় কাটলে বুঝতে পারবে লাল-নীল স্বপ্ন গুলোই
অধরা শ্রাবন-শর্বরি মনে করে পাড়ি দিয়েছ দিনবদলের পালা।

ভুল দৃষ্টি ফেলে পদদলিত করেছ শতাব্দীর প্রনবন্ত আহব্বান,
ঘৃনাভরা উপহাসে সরল দুনিয়ায় জটিল মন ধারন করে
ক্লান্ত হওনি ক্ষতবিক্ষত করতে সভ্যতার দান।

যত আছে থেকে অভিযোগ অভিমান
লুকিয়েছি সবই কোমল বুকে তারা হারা কালো অমানিশা রাতের সমান!
পূর্ণির জোত্স্না ঢেকে নিয়েছ,পুরোটাই ছিল তোমার অভিলাষ,
হাহাকারী একটা বোবা কান্না ফেরারী হয়ে অশ্রু নয়নে শুধুই পেতে চায়
মায়াভরা ধরনীতে শুভ্রতার ছোঁয়া ঝরানো স্বপ্নিল আকাশ।
--------
(০৮/০৫/২০০৯)

প্রিয়,
পাঠক/পাঠিকা
* লিখায় আমার কোন দক্ষতা নেই,অশুদ্ধ আর ভুলে ভরা বানানের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত আমি।

* কবিতা,গল্প,উপন্যাস--প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে জীবনেরই প্রতিচ্ছবি হয়ে কথা বলে।

-হায়দার ।
প্যারিস, ফ্রান্স
২১/০৮/২০১৫