বিষাদের বাগানে দাঁড়িয়ে
সুশীল জনে প্রশ্ন আঁকিয়ে নিশ্বঃচলি ,
কত আগুয়ান ইশারা ঈঙ্গিতে
আবেগ প্রবর্তন করেনা নম্ররূপী ।

হেলে দুলে হতাশার সকাল গড়িয়ে
ব্যথার বিকেল যত ঘনায়,
জীবন মঞ্চে কবিতার অদৃশ্য শক্তিই
সুমনাদের মিলন বাড়ায়।

কবিতার জন্য দিবানিশি ধাবিত
নদীর মতন ফুটন্ত জাগিরই মনে,
জ্ঞান দস্যূর অশ্রাব্য বাক্য প্রাচীরে
বন্দি সময়রা তিষ্ঠোতে অযত্নে ।

ভুলেছে মেলিতে ডানা
পদ্মাপাড়ের চিকচিক বালুকায় হংস মিঠুন,
বৈরাগী করে বিভাগী বানায়ে কবিতা
প্রেমে বাড়েনা বউল বুনন।

বাহির পরিপাটি অসততায় রয়ভর্তী
আধুনিক দালান বাড়ী ঘরে,
বিবেকে বাজায় বভিষ্যত্-বানীর প্রপ্তি
মনকে ছন্নছাড়া করেতোলে।

হায়েনার বর্বরতায়
বকুলে গন্ধ ভয়ে মৃদুকম্পন মুক্তমঞ্চ জুড়ে,
অশালীন শব্দ গুচ্ছ সহমর্মিতা কেড়ে
কাঁদায় বিরহী ছন্দ পতনে।

পুরনো কাজল মুছে
নতূন প্রদীপ শিখার জয়োগান জগতে,
সাহারার বুকে নায়াগ্রার জলপ্রপাত
কষ্ট প্লবন ধাবিত ক্ষনে।

সাইবেরিয়ার তুষার গলে
মরুপথে সাগর বহেযায় নিমিশে,
গোধূলী লগনে কবিতা সন্ত্রাসীরা
প্রেমযমুনায় সুরভী ডুবায় ।

মেঠোপথে গজাবে কবিতাতৃণ
মজাপুকুরে কাব্যরসে পানি রূপালী,
চলত্ চলত্ এগিয়ে যাবে
ভগ্ন শত ফাটল বুকে ধরে কাথার তরী।

মননদের সুখে মাঘের পূর্ণিমায়
উঁকিঝুকি দেয় স্নিগ্ধ চাঁন্দের হাসি,
মরাগাঙ্গে শব্দঢেউ তরঙ্গ কলতানে
ফোটাবে থৈথৈ খৈফোটা ধ্বনী।

কাব্য দস্যূরা মেঘ হয়ে
শান্তির ছায়া পরশ বিলীনে ব্যতিব্যস্ত,
বসন্তে পুষ্প কাননে ফুল ফোটা স্তব্দ
শীতল বাতাস বাধা প্রাপ্ত।

ধূসর সময়ে
কোকিলের কন্ঠের গান বন্ধে
হইনা আর বিচলিত,
মনেতে লালন ধারন
একটা নিষ্পাপ মঞ্চে হাজার রবো গণিত।

শ্রুতি মধূর আর অনন্দের ফলন
ছড়ানো বাগান হয়যদি কবিতা
জলজল করে শুভ্রতার হাতছানী
শ্রান্তমনে দেবে ছোঁয়া শান্তনা।
(০৯/০৭/২০০৭)

-হায়দার
প্যারিস,ফ্রান্স
২০/০৮/২০১৫