প্রভাতের ভৈরবী হিমশীতল আবহ দিয়েছিল জানান
দেখা হবে আজিকে তিন যুগ বাদ আবার
বাল্যকালের খেলার সাথীর সনে।
নিমিশে ছুটে যায় মন প্রান বন্ধুবেলায়
একদা বেঁধে ছিলাম জুটি যার সাথে
শুনেছিলাম রাখালিয়ার গান
মেতেছিল হরঙ্গংগার সেই সবুজ প্রান্তরে
কিংবা লৌহজঙ্গের শ্যামলিমায়।
কত মেঘলা বাদল দিন
গিয়েছে হারিয়ে কত কনকনে শীতের দ্বিপ্রহর
এ বাড়ী ও বাড়ী ঘুর ঘুর ছুটাছুটি স্মৃতির রোমন্থনে
জমে থাকা হরেক গল্প কাহিনী
দেয় নাড়া হৃদয় চৌকাঠে আবেগি হাওয়ায় হায়ায়
বিকেল আজি যেন দাঁড়াবে সাজি গেঁথে কথার ফুলজুরি
সিন নদির চিকচিক তরঙ্গ ভেলায় ।
খুঁজে পাবো ছোট্টকালের একচিলতে রোদ্দুর খেলা
এলোমেলো ভাবনাগুলো আমাদের
কখন যে উড়ে যাবে অপুরন্ত হাসি আমোদের পাল্লায়
চৌদিক আজ সুভ্রতা ছড়ায়ে জেগেছে প্রকৃতি
হাতছানি দিয়ে যায়
সতেজ হাস্যোজ্জল দিগন্ত মিছিলে মিছিল।
হৃদয় দুয়ারে কড়া নাড়ে শুকনো শত জলছবি
মুহূর্তে আঁকিয়ে যাই চেনা যত নাম জানা অজানা মানুষ গুলির
খনিক অলক্ষে কাটিয়ে গেল ৩৫ বচ্ছরের স্মৃতি বিজড়িত
এক সুভ্র সাঁজের বেলা।
বাল্যকালের সাথী বন্ধুর রঙ্গিন সপ্নমাখা হাসির দৃষ্টি
ফের যেন সিন নদীর তিরে খুঁজে পেলাম
অনারম্ভর এক আড্ডার মিছিলে ।
অদেখা বন্ধুর মুখ বদন
যাহা রেখেছিল মোরে ডুবিয়ে
সম খাঁখাঁ মরুর বুক
আজ কেবল হাতড়িয়ে বেড়াব
যাব হারিয়ে, খুজে পেতে শৈশব কৈশোরে ঘেরা
টুকরো টুকরো অগোছালো স্বপ্ন বাগিছা
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে আজ মেলেছি স্বপ্নালু ডানা।
একগুচ্ছ স্বপ্ন স্মৃতির পাতায়
শুন্য খাতার খুলেছি হিসেব মেলার খেলা
এতটা বছরে নিষ্প্রাণ ছিলাম যে আমিও বন্ধু হারা
খুজে পেলাম যেন আজিকে এক ফালি জোছনা
ফিরে পাই বারে বারে স্মৃতির অমলিন পাতা
এক পড়ন্ত গোধূলি থাকিল হয়ে সাক্ষী
ধরণীকে করে অপার বিস্ময় ।
(১৬/০৮/২০১৫)
-হায়দার ।
প্যারিস,ফ্রান্স
১৯/০৮/২০১৫
==================================
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা
সংস্কৃতি সেবী জনাব মুনির কাদের (জিল্লুর/আজাদ)
এবং
ডাক্তার এ এস এম ইস্কান্দার (লাভলু)
উপরোক্ত দু’জনাকে লেখাটা উৎসর্গ করা হল ।