হারিয়ে ভাবনাবসন,
বাজিয়েছ কাঁকন,দুলিয়ে কৃষ্ণ কুন্তন
বাহারি কবরীর কবলে পাকিয়ে অন্তরকাননে জাগিয়েছিলে কুন্দরাজি,
ভাসালে কালবেলায়
নাচিয়ে অবগুন্ঠিত মনে লুকিয়ে কদর্থ কারদানি
জীবন নদীর অফুরান অবকাশের সুখের পাথারে বাঁধিয়েছ বেড়ি চিরন্তন।
কত কথন,শত বর্ণন,
করিয়ে একটি নিষ্পাপীর মত ভঙ্গি বচণ
চটুল মায়াবি যাদু চোখের নিষ্পেষণে নির্মল মনটাকে বানালে দিশেহারা!
জ্বলে ক্ষয়ে বিষাদের রাজ্যে
মেলেদিয়েছি মনের শাখা
নিয়তির পীড়নে ক্ষনিকেই হাজারো আশাকে পড়ায় নির্মোহ দগ্ধ আবরণ।
বিরহের মোহনা গ্রাস করে সুখের ঝর্নাধারা
কষ্টের শ্রোত বলে লক্ষ জনের চোখে পড়েনি
শান্তির অন্বেষায় হলাম বাঁধন হারা
দুঃখের উদ্যানে ফুটে শুধু ক্লান্তির ফুল,
আসেনা ফুটাতে কেউ শান্তনার মুকুল ।
তোমারাই নিষ্ঠুরতায় গ্রীষ্মের খর রোদ্রের মত
শান্ত স্বপ্নিল ভূচরে অশান্ত দুর্দম আবেগে
ফাটিয়া পড়ে কাল-বৈশাখীর ঝড়ের তান্ডব তীব্রতা ।
তোমারই বেহায়াপনা বর্ষণে
জগতের শত কষ্ঠ কথায় সচেষ্ট থাকি রহিতে সব ডুবাইয়া
মুক্ত মরু প্রকৃতির কন্ঠে আনিয়া দিতে মুখরতা।
ঝিল্লি-দাদুরী একটানা চারিদিকে ডাক
মেঘের মত নামিয়ে দিলে স্বপ্নময়ী জগতে অন্ধকার,
থেকেছি সেই অন্ধকারে জ্বালাতে বিদ্যুত্ বিলাশ ।
চেয়েছি শোভাতে আকাশের সাদা মেঘের জলে
কুমুদ-কহলার আর শুভ্র হংস,বুনেছিলাম মনপ্রাণে কাশের গুচ্ছ,
গেঁথেছি হাজারো শেফালী মালা,
স্বপ্নে গাঁধা পুষ্প মঞ্জুরী দিয়ে সাজিয়ে ছিলেম ভাবনার বিলাশ ডালা,
চেয়েছিলাম করিতে স্বপ্নময় এক দুনিয়া,
শান্ত সৌম্য মত ঋতু হেমন্ত,উত্সব প্রমত্ত
ধরণীর অঙ্গে শীত হয়ে দিয়েছি শীতল হাওয়ার আশ্বাস ।
রোদ্র তাপের মেজাজ ছড়িয়ে মূহুর্তে ভখারালে অন্য হৃদয় মাঠে আগুনের ফুলকি
কষ্ঠকর তৃষ্ণায় জিব বাহির হয়ে হাঁপায় তাঁকি এক স্বপ্নালু আকাশপানের খোঁজে,
পেতে চায় তাপিত হৃদয়ে একটুখাঁনি শ্যামল ছোঁয়ার আলিঙ্গনী।
(০৫/০৫/২০০৯)
-হায়দার !
প্যারিস, ফ্রান্স