নিঃস্বঙ্গ একাকী পথ চলা
আশা নিরাশার দোলায় দোলে মন আমারই
এলোমেলো ভাবনা বাগ
স্পন্দন হারায় জীবন
রয় জেগে জোনাকিরা নিষ্প্রাণ নগরীতে।
এক গুচ্ছ আলো ঠোঁটে
স্বপ্নের সতরঞ্জি তলায় দুঃখের সরোবরে
হাত ছানি দেয় বিরহী জলাধার
লাবন্য হারায় পদ্ম কমল
হয়েছিলাম বাকরুব্ধ ।
হয় সাথী নিস্তব্ধ দ্রোহের মায়াজাল
যন্ত্রনা বহরের ফল কাতর দৃষ্টি
কাক ভেজা যন্ত্রণা আলো ছায়ায়
কিছু মিছে অনুভূতি মগ্ন প্রভাত…
স্বপ্ন সুখের সন্ধানে করি নিরুদ্দ্যেশ যাত্রা।
মন ভেজাব সুখের জলে
দাঁড়ি ভালবাসার ছায়াতলে
করিনা যে আর ডর ভয়
হারিয়ে রয়েছি আজ সুখের সমুদ্রে
আড়ি করেছি যত সমস্ত অঙ্গারের সাথে
দুঃখের চৌ সীমানা দেব পাড়ি
বাঁধা যে মানবনা কিছুতেই।
সপথে রংধনু রঙ ছুঁয়েছি
কুড়িয়ে নেব ভরসার রথ
পাব বলে কারোর গাঁথা মালা
করেছিনু মিতালি কোন এক সন্ধ্যায়
বসেছিনু সুনেত্রায় আড়াআড়ি
ছায়া সখি বন বনবাদাড়ি
উৎসব মুখরিত দূরের কদম্বতলায়।
ভিরু ভিরু পায়ে চলি
শুকনো পাতার মর্মর শব্দ
আলিঙ্গন করে পদ যাত্রা মোর
ভাঙ্গে দুশ্চিন্তার ধ্যণ।
প্রজ্বলিত হয় আলোর নিভানো আভা
যেন চলছি সহস্র বছর ধরে
এমনি নির্জনতায় ।
স্বপ্নময় আবেগের যেন প্রথাশ্রয়
ঘটে আবির্ভাব স্নিগ্ধতার সুবাতাস
ক্ষনিকে জাগায় মনে বসন্তের প্রাদুর্ভাব।
সেজে গুছিয়ে উঠেছে এক জোসনার মুকুল
ফুটে তুলিয়েছে হাতের রেশমি বালা
নয়ন কাঁড়ে রিনিক ঝিনিক শব্দতান
দূর থেকে বহুদূরে
সরে দাঁড়ায় বিরহ ব্যাথা আমার।
বাসন্তি হাওয়ায় হেসে মাতে আনন্দের মূর্ছনা
থেকে থেকে ধরণী সোভা বিকায়
ঝংকার নুপুরে নিক্কন তাল
আধাঁরে মিলায় আকাশের ঘন কাল নীল
সুখোষ্ণ ফিরে আসে শ্রান্তি লাগা জিবনে।
হাজিরায় দিয়েছে জানান
অপরূপা যেন এক ডানা কাটা পরী
সুধাই সকল জনাতে
সোহাগ স্রোতে করি তুল্য মুল্য
দৃষ্টীর সীমানায় সে সরলতার উপমা
বারে বারে তারে নমি।
( ১১/০৯/২০১৪)
-হায়দার।
প্যারিস,ফ্রান্স
১২/০৯/২০১৪
*** ( লেখাটি সহধর্মিণী কে উৎসর্গ করা হল )
*** বি দ্র – এটি (যাযাবর পায় নয়া পৃথিবী) এর ২য় অংশ…..
ক্রমশ..ধারাবাহিক ভাবে চলবে …চিন্তায় আঁকি স্বপ্ন বাসর।