উড়িয়ে বাতাশে শাড়ীর আঁচল
দুলিয়েছ দীঘল কাল কেশ
স্মিত হাসির লক্ষণ স্থির মুখ বধন,
সোহাগের রঙ রাঙিয়ে ভরালে ধরণী
ফুটলে মল্লিকার রুপান্তরে
স্বপনের সয়নে ছিল এত কাল  লালন।

স্বরনালী ভোরের শিশির
ফুটে মায়ার কোলি
বিকোয় মমতার রাঙগা পর্‌
জুঁই চামেলি আবেশে জুড়ালে হৃদয় আঙ্গিনায়
হলে তুমি পহেলা প্রহরের পুস্প মাঞ্জুরি।

ভাবনায় মোর পেতে বাহুর বাধন
ভাললাগায় স্বপ্নঘেরা চৈতন্য জাগে
হবেনা থাকতে অজানা সিমানায় ডুবে রয়ে।

তোমা থেকে পেয়ে আদর কথন
এ জীবনে লালিত্য  বাসনায়  সুখের স্বাদ বাড়ে,
চিরকাল আনন্দ বেদনায় থাকব উজ্জ্বল
হই যদি একে অপরের সাথী দোসর।

কাটিয়ে ছিলাম অশ্রু ভেজা  আর্তনাদ
উড়ছে সুখ দুঃখের সুপ্ত মেঘের ভেলা
ভুলেছি অজস্র অমানিশার ভীরু কাল,
যখনি দেখেছি মুখ ছবি তোমার
আঁকি সুন্দর পৃথিবীর এক তৈজস  চিত্র ছবি।

ফুলের সুভাসে আর পুষ্প রেণুর বিকাশ
মনেতে ছোঁয়ায় মধুর লগন
হৃদয়ের বসন্ত বাহার
প্রান পায় ফেরারী জীবন।

গুন গুনিয়ে বাড়ে গুঞ্জন ভ্রোমরার
জ্যোৎস্না রাতে প্রানের সুর
কাছে পাবার স্বপন নামে আঁখিপাতে
আকাঙ্ক্ষা মিটবে মধুর পিয়াস।

একটু ফিরে দেখি
সহস্থে উপডোকন চন্দনের মালা
মিলে পরিচয় তুমি বিশাল উপমা
বারে বারে লাগছে ভাল
ছুটেছে শান্তির হাওয়া সাগর কিনারা থেকে
দৈব দয়ায় মমতায় বীণা বাঁধে পাহার সম ।

হৃদয়ের  দুর্দিনে ভীষণ খরা
ত্যাজি থাকে ঠিক উদাস দুপুরে
ফোটাও টুকটুক লাল লজ্জা বতী চোয়াল
জানান দেয় শান্ত হবার।

দিবসের প্রখর রোদ্র নিমেশে দূরে তলায়
ছুঁড়ে স্নিগ্ধতার হাসি।
তোমার উপস্থিতই ধন্য রাতে আকাশের বুক
মন কাড়া মায়ায় নামে চাঁদের হাসি
ব্যাতি ব্যাস্ত রয় ঝিকিমিকি তারকারারাজী ।

ছরায় ফুলেরা সুরভী
সুখের আলিঙ্গন পায় খুঁজে
দুজনার মনতরী ভিড়ল এসে কল্পবাগিছা ঘাটে।

অচেনা আবডাল থেকে জোনাক উকি
সন্ধানী চোখ অশান্ত কল্পনা
ঘোরের পথ ক্ষনিকে ফুরায়
যাযাবর পায়  নয়া পৃথিবী।

-হায়দার।
প্যারিস,ফ্রান্স
০৯/০৯/২০১৪

*** বি দ্র - এটি " যাযাবর পায়  নয়া পৃথিবী। " এর ১ম অংশ..... ক্রমশ..ধারাবাহিক ভাবে চলবে  
               চিন্তায় আঁকি স্বপ্ন বাসর  লেখাটি ১২ থেকে ১৩ খন্ডে সমাপ্ত করার।