গুম খুনের জন্ম আবির্ভাব ,
করেছে আনায়ন অলক্ষুনি উপমার
সভ্যতার বাতায়ন খিড়কি আঁকে
সুভ্রতার কোলঘেসে গড়ায় এক নিরানন্দের পাহাড় ।
হারিয়ে সন্তানাদি
কাঁদতে কাঁদতে জ্যোতি নিবে আঁখি
প্রাত্যহিক জীবন ঘিরেছে অচিন তিমির
ডুবেছে কতেক মন মৃত্যুশয্যায়,
সৃষ্টি কর্তার নিকট মাগিয়াছে প্রার্থনা
মরার আগে যেন ছেলের মুখ দেখে যেতে পারেন
পাবেন বহুত শান্তনা ।
সকাল সন্ধ্যায় কারো-কারো অবোধ শিশু কন্যা
অপলক তাকিয়ে থাকে নিয়ে বিশ্বাসের চাহুনি
প্রতিটা মুহূর্ত অপেক্ষায় থাকে
তার বাবা এই বুঝি আসবে ফিরে বাড়ী ।
বলছি তোমায় ,
শুন্যে ভাসে হাহাকার
শুনতে কি পাও এই কান্না
রাষ্ট্রের অভিবাবক ?
তোমার কাছেই তো রয়েছে
মোদের সকল দুঃখ সুখের বায়না ।
মন থেকে মনান্তরে
বাড়ছে অহরহ যন্ত্রনা বঞ্ছনার,
ধৈর্য সহ্য বাঁধ গেছে ভেঙ্গে
দেখি চলছে দেশ ভরা অস্থির অরাজগতায়।
চমকে যাই সংবাদ পাঠের বদৌলতে
জেগেছে বদৈন্যতা বাড়ছে দূরত্ব
দিনকে দিন জনতার হিংসা বিদ্বেষের ভার
যেন ফেলতে না চায় ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি
প্রতি তোমায় ।।
পারিনা ছুতে আকাশ
তবু আমরা তো তাকিয়ে রই ওই দূর পানে
সচেষ্ট থাকি ছাড়তে একটা নিঃশ্বাস
কিছুটা গর্ব করবো
নিজেকে স্বাধীন চেতা পরিচয় দিতে পারার।
ভিরু হৃদে করি লালন
ছড়িয়ে নীল আকাশে শপ্নালু ডানা
কল্পনার চক্ষু মেলি
আমার নিঃশ্বাস হবে নাকো বন্ধি
-প্রতিজ্ঞ,অহর্নিশ থাকব আমি স্বাধীন।
করো যদি রেখে বন্ধি
হিংসার বদ্ধ প্রাচিরের তালায়
গড়তে যাও যবে ইমারত –
উলটো করে ভাবলেই নিজেকে মনে হবে
শুধু কেবল রয়েছি পড়ে পরাধীন ।
শত অনুরাগ অভিযোগ হিসেব মিলবে
বজ্র দিপ্ত কঠিন চেতনায়
সান্তনা খুজতে হবে মাঠে প্রান্তরে
জন্ম দিতে বাধ্য হবে ব্যাতিক্রমি উপমার।
হৃদয় বিদারক অনুভূতি মোর
কাউকে না যায় বুঝান
কতযে ব্যাথা হৃদয়ে সকলের
না যায় দেখানো,
বুজবেনা কেউ বুজবেনা
অন্তরে আজ কিযে আমার রক্তক্ষরণ।
থেকে থেকে মন মন্দিরে জল্পনার দেয় উঁকি
লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা
সুফল ভোগ করার অধিকার যাবে হারিয়ে
কেন হবে ভাবতে ?
দেহের শিরায় শিরায় কম্পন ঊঠায়
ভাবিনি কখনো এমন।।
। । ।
-হায়দার।
প্যারিস,ফ্রান্স
৩১/০৮/২০১৪
বি দ্র ;
আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষ্যে–গুম বা নিখোজ হয়ে যাওয়া
প্রত্যেক ভুক্তভোগী পরিবার পরিজনদের প্রতি
সমবেদনা জানানোর জন্য এই লেখার উদ্দেশ্য এবং উৎসর্গ।