অজানা এক সুখের প্রত্যাশা
অনাবিল আশ্বাসে ভাসিয়েছ তরী ভেলা
দূর বহুদূরে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে
কাটিয়ে পরাধীনতার নাগ পাশ
লালনে রয়েছিল ভাষার চেতনা
ক্ষুদে ক্ষুদে অনুভূতির অফুরন্ত সঞ্চয়
স্বাধিকার আদায় সযতনে বুনেছ এক রক্ত কমল।
দিনকি রাতে সাঁঝের কোলে আদর স্নেহ দুরন্ত বিচরণ
আঁধার কাল গর্ভ হতে আলোর বার্তায়
পৌছে দিয়েছ তুমি বিবর্তনের ধারায়
খোলা খোপের উড়ন্ত কেশের মায়ের আঁচল
জাগিয়ে জাগতোলে দিন-মুজুরের লক্ষ্য কোটি কোষের চালিকা রথ ।
সৃষ্টি সুখের শব্দ মালায় তব প্রাণ
লয়ে কেড়ে উড়িয়ে ছুঁড়েছ শূন্যে পতাকা ঠিকানা
সবুজের মাঝে লাল বৃত্তগোলক
নাম করেছিলে মা তার
ভাষা আন্দোলনের দাগ ।
কন্ঠে আমার শুনালে বাজাতে দামামা
বহমান পদ্মা মেঘনা গতিধারা
বিস্ময়কর গঙ্গা যমুনার প্রচন্ড স্রোতের মত
প্রতিটি ক্ষনে প্রতিটি নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে
রক্ত কণিকায় ধমনী থেকে ধমনীতে রাত জাগা চোখের কষ্ট নিয়ে
প্রহরের পর গেছে কেটে প্রহর
জাগিয়ে উঠেছে ভাষার চেতনা এই বাংলার উপত্যকায় ।
বঙ্গ জননীর অবারিত সবুজের বুক
হিয়ার মাঝে অবিরল সাজিয়ে বাজে
স্নিগ্ধতার ছোঁয়া
নচেৎ সুভ্রতার আবেশ মাখা বাংলাভাষার প্রেমের সুর ধ্বনি ।
উতাল প্রবাহ মাতাল হাওয়া
নদীর জল, আকে ছবি চোখে ছলছল
হৃদয় দুয়ারে কল্পনার শব্দ মালা
নিজকে ভেঙ্গে চুড়ে স্বপ্ন গড়ি রচি বিভোর দিবানিশি। ।
বিকশিত ফাগুনে
বাংলা ভাষাই অবিরল ঠাই দাঁড়ে
হয়ে চাঁদের আলোক বাতি
সজীব ভালোবাসার বন্ধনে তুল্যকরি
ঠাই রবে হয়ে পুষ্প বঙ্গ ভূমির।
(২০/০২/২০১৪ )
-হায়দার ।
প্যারিস,ফ্রান্স
২১/০২/২০১৪