ফাগুনের দোল বেলা
ইশারায় ডাকে শীউলী মালা
বেণীতে চামেলী বেলী সৌভন লোভন
সবুজ মনে বেড়িয়েছিলাম অবুঝচিত্তে
আঁকাবাঁকা আলপথ ধরে!
নব বসন্তের কূহু কূহু তান
হৃদয় কুঞ্জে রঞ্জিত কৃষ্ণচূড়ার লাল
শিমুল পলাশের ছড়ানো বাহার
ছড়িয়ে থাকা কল্পনা
মুচকি হাসে দুইধার মাথা উচু করে ফুটে থাকা নাম নাজানা পুষ্পগুছ !
সুখের অনুভূতি
শরতের গগন ভরা পূর্ণিচাঁদ
দীপালির আলোতে বিকশীত রজনী
মুখোমুখি লগন দুজোড়া আঁখি
ভাষাতে হরেক কথন
অধরের মায়াবী প্রলেফ মুছে দেবে হতাশার নিকোষ কালোদাগ
বৃষ্টি ভেজা নিশীথে মিলন মালার গজাবে পল্লব
মনে গেঁথে থাকা স্বপ্ন পাপড়ি
ধীরে ধীরে বলয় পাবে সুখোকলি বৃন্ত !
ভাবনার বাসরে চাওয়া পাওয়ার অমিল
অজানা ঝড়ে সুখের আবেশ যায় হারিয়ে
ফ্যালফ্যাল করে ভাবায়
স্মৃতি হয়ে রয় ফেলে আসা দিনরজনী !
উচ্ছন্নের গর্ভে গেলো কলিকাল
কেড়ে নিল সতেজ আনন্দ হাসী
কালো জ্যোৎস্নার ভারে বিবর্ণ ভাবনামুকুল
গহীন বেদনার বিনিদ্র রজনী
ডুবে লুকাই লোকচক্ষুর আড়ালে
মুহুর্তে ছন্দ হারায় রাঙিয়ে থাকা জীবন ছবি !
গ্রামীন মেঠোপথ নিথর ঠাই সাক্ষি
দেয় জানান শুকিয়ে পুষ্পমাঞ্জুরী
কিংবা জাগিয়ে উর্ভরচর
গতী হারা মুহুর মুহুর কলতান করা নদী!
দোল কুড়ানো বেলা
ছিলো ভালো মায়াবিনীরূপী মরিচিকাকে নাচেনা
ভুল করে মিলেছে পরম পাওয়া
সত্যের মিলে জয়জয়ন্তি
মায়ায় ডাকা সে ছিল এক ডাকিনী !!!
( ১৫/০৯/২০১১ )
-হায়দার !
প্যারিস,ফ্রান্স।
১৩/১২/২০১২