মেয়ে তুমি বড় হয়েছো।
আর ছোট্ট খুকি নেই,বেঁলে মাটির ভাত রান্না
কচুরিপানা আর ব্যাঙ্গের পোনার ছালোন
মাটির বাসন-কোসনে সংসার পাতা।
শাড়ি ভেবে গামছা পড়ার বয়স  এখন নেই।
দৌড়-ঝাপ,পাড়া-মহল্লায় একা-একা ঘুরাফেরা,,
ছুটাছুটি চলবেনা।
বরদাস্ত করবোনা।

মেয়ে তুমি বড় হয়েছো।অনেক বড়।
তোমার শরীরে এখন নারীর গন্ধ।
সাবধান মেয়ে।
স্বপ্নে রং-বেরংয়ের বেলুন ওড়বে।
সাবধান মোটেও ধরবেনা।
রংয়ে ভুল হলে সারা জীবন কাঁদবে।
সমাজ তোমাকে কাঁদাবে।
আমি তোমার জন্য বাকি জীবন কাঁদতে পারবোনা।
প্রসবকালে অনেক কেঁদেছি।
তোমার শরীরের গন্ধে মাকড়শার মতো
মসৃণ ফাঁদ পাতবে পুরুষেরা।
খবদার পা দেবেনা,
মেয়ে তুমি বড় হয়েছো।
পাড়ার ছেলেরা তোমাকে দেখে শিস দেবে
গান গাইবে।
তুমি চুপচাপ মাথা নিচু করে বাসায় চলে আসবে।
কোন প্রতিবাদ করবেনা।
সমাজ তা মেনে নেবেনা।

মেয়ে তুমি অনেক বড় হয়েছো।
তোমার সংসারী হতে হবে।
সংসারের কাজ-কর্ম শিখতে হবে।
লোক গুলো যখন তোমাকে পছন্দ করতে আসবে
শান্তশিষ্ট নিরীহ প্রানীর মতো
মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকবে।
বিড়ালটা যদি তোমার কোল থেকে ছুট দেয়।
তুমি কিন্তু ছুটবেনা।
আমাদের পছন্দ হলে, বিবাহ।
নারীর পছন্দ থাকতে নেই
নারীর ভাগ্য নিজের হাতে থাকেনা
স্রষ্টার কাছে।