ঘরে ছাউনি ছিলো, ছিলো না
তবে ছায়া ছিলো, রৌদ্র লাগেনি
মাথা ভেজেনি বৃষ্টির জলে,
ঝড়ে ভয় ছিলো না কোন।
মাঠ তেপান্তর চষে,বরফ ছায়া ঘর।
ইদানীংঘরে ঢুকে ছাউনির দেখতে হয়,
আজ ঝড়ে টিকবে তো? খুবই নড়বড়ে
ফাঁক-ফুৃঁকরে টুপ টুপ ঝরবে কী বৃষ্টির জল।
আগে এত অচেনা ভাবনা ছিলোনা, মাথায়
শাপলা খঁচিত দশ পয়সার অপেক্ষা ছাড়া।
ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় উঠবেন কখন
হাতের তালুতে চক চকে দশ পয়সা,
দোকানে বয়াম ভরা লাঠি লজেন্সের দিকে
ছুটে যাওয়ার ব্যকুলতা, ততক্ষণে
মুখে, রসে ভেজা দশ পয়সা,
ভাবনা যত ছিলো, বাবা মানুষটির
ভাবতে ভাবতে চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়তেন।
কখনও কখনও আঁৎকে উঠতেন, মাঝ রাতে।
দেখতেন,মশা, ছারপোকা চুষসে কী
রক্ত-ঘামের রক্ত, লাল হাতে, আফসোসের শব্দ।
যখন হাত ধরে, হে্ঁটে যেতাম চৌরাস্তা পর্যন্ত,
বুকের পাটা প্রসারিত থাকত,নির্ভয়ে
অভাবকে কখনও ঠুঁকরাতে দেননি আমাকে
বাবার শার্টের কলারে, অভাব ঠুঁকরে খেয়েছে।
লুঙ্গির রং,শেষে চোখের লেন্স।
সূতোয় বাঁধা কালো ফ্রেমের চশমা,
পড়ে যেত অভাবের ভারে
যত দিন আমার বাবা ছিলেন।
ভাবতে হয়নি , এ ঘরের ছাউনির কথা।
আজকাল অনেক কিছু ভাবতে হয়,