হয়তো তুমি আজ অনেক সুখে আছো। হাসি খুশি কাটছে তোমার জীবন। আনন্দের বাঁশি বাজিয়ে গান
গাইছো মধুর সূরে।
তুমি কখনো কি তার কথা ভেবেছো? যে তোমার জন্য কষ্ট গ্রহন করেছে। হারিয়েছে জীবনের স্বাচ্ছন্দ, যেন তুমি বিলাসী হও এ কথা ভেবে।

তার বাঁশির যে আজ আর সর্গম সূর
উঠেনা! তবুও বাঁশি বাজায় তোমার অপেক্ষায়। আজ সে আত্মবিস্মৃত!

জানো,সে হাসতে চায় কিন্তু কাঁন্না তার গুমটি ঘরে তারে বেঁধে রেখেছে। সে যে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার ন্যায় যন্ত্রণা।

হয়তো তুমি নিজের সম্মানের কথা ভেবে চলে গেছো বহু দূরে। আজ তুমি পেয়েছো অনেক আপনজন। সবায় তোমাকে ভালোবাসে। অনেকেই আজ তোমার চিন্তায় মগ্ন। কিন্তু সে!

তার কথা কি একটুও মনে পড়ে না? যে নিজের
সন্মান ভুলে গিয়ে আজ অপমান আর ঘৃণা গ্রহন করেছে শুধু তোমার কারণে।
আপনজন হারিয়ে আজ সে নিঃস্ব। কেউ তাকে ভালোবাসেনা।  কেউ তার কথা ভাবেনা। আজ সে নিঃসঙ্গ! বড় নিঃস্ব!

আজ তোমার মনের গগনে চাঁদ উঠেছে। কেটে গেছে আমবশ্যা। সুখতারা গুলি মিটি-মিটি হাসছে। জোনাকি তোমার মন আলোকোজ্জ্বল করে সাজিয়ে রেখেছে।  
কিন্তু আহ! তার মনের আকাশ যে আজ মেঘাচ্ছন্ন। চাঁদ কালে মেঘের আড়ালে হারিয়ে গেছে। তারার
মিটি-মিটি ও জোনাকির চিক-চিক আলোও যে সে আর দেখতে পায়না। গভীর অন্ধকার,তবুও সে তোমাকেই খুজছে! হ্যাঁ তোমাকেই খুজছে!

মিষ্টি সকালের শিশির ভেজা গোলাপটি দেখে কী একবারও মনে পড়েনা তার কথা?
যাকে গোলাপ না দিলে তোমার দিন কাটতো না। সে যে দিন তোমার খোঁপায় গোলাপ না পরিয়ে দিতো,সে দিন তোমার সাজা-সাজি নষ্ট হয়ে যেতো।
কিছুই ভালো লাগতো না তোমার।
মনে পড়েনা....?

তুমি এমনই একটি গোলাপ তাকে দিয়েছিলে,কিন্তু
সে ভাবেনি যে এটাই তোমার পক্ষে শেষ গোলাপ!
জানো,সে আজও গোলাপটি যতনে রেখেছে। গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে শরীর থেকে আলাদা হতে চেয়েছে,কিন্তু সে মাটিতেও পরতে দেয়নি। জীবনের ডায়ারিতে যতনে রেখেছে। যখন তোমার কথা মনে পড়ে,তখন সে ডায়ারি খোলে এবং তোমার চিহারা দেখতে পায় লাল পাপড়ির মাঝে। শুনতে পায় সেই কথা,যা তুমি তাকে বলেছিলে হাতে-হাত ও চোখে-চোখ রেখে "『....l LOVE U....』"।

>এটা আমার বাস্তবতার কথা নয়,আমার আবেগের
কথা।