আমার দাদার যিনি দাদা ছিলেন তিনি নাকি প্রায়শই দেখতেন মধুর বৃষ্টি হচ্ছে। ঘরে ঘরে থাকতো গোলা-ভরা মধু।পুকুর আর নদী ভরা কেবল মধু আর মধু। তিনি সমুদ্র দেখেন নি তাহলে হয়তো দেখতে পেতেন মধুর সমুদ্র।
আমার দাদার বাবা মাঝেমাঝে দেখতেন ফল আর ফুলের বৃষ্টি! আহা কি আশ্চর্য সুন্দর বৃষ্টির দিন। গোলাপ , চ্যামেলি, আম,কাঠাল নারকেল কি নেই! আমি বিষ্ফোরিত চোখে তাকালে বাবা বলেছিলেন,"আরে না! ওগুলো মানুষের মাথায় পড়তো না, পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও ম্যরাডোনার মতোই ওগোলো ড্রিবলিং করে পড়ে যেতো প্রয়োজনের গোলবাক্সে!
আমার দাদাও নাকি ৫/৭ বার দেখেছেন দুধের বৃষ্টি! রহমতে ভরা সেই বৃষ্টির দিনগুলোতে মানুষ, পশুপাখি সবাই ছিল আনন্দে। প্রেম আর ভালবাসার পবিত্রতায় ভরা আল্লার ওলীর মতো সেই যে ছিল এক সৌম্য শহর!
আহা! তারপর কী যে হল! বৃষ্টির ভয়ে এখন আমরা কেবল লুকিয়েই থাকি! আকাশে মেঘ করে এলে বাবার চোখে সে যে কী আতংক! হায় রে বৃষ্টি! এখন বৃষ্টি মানে মধু নয়, ফুল নয়,ফল নয়, দুধ নয়। এমনকি সুপেয় পানিও নয়। এখন বৃষ্টি মানে শুধুই ঘৃণা - রক্ত আর পাথর!