নারীর পবিত্র শরীরে ধর্ষকের কালো ছায়া
হিংস্ররুপে প্রতিফলিত হয়েছে|
যে শরীরে প্রিয়জনদের ভালোবাসা লেগে থাকার কথা ছিল,
সে শরীরে আজ বসবাস করছে
মানুষ রুপের অবয়বের হিংস্রতা|
যে হিংস্রতা ক্রমেই ধর্ষিতাকে
মৃত্যুর দিকে পতিত করছে|
কষ্ট অনেক কষ্ট, অপমান দারুন অপমান
সমাজ প্রতিনিয়তই দিচ্ছে|
ধর্ষককে শাস্তি না দিয়ে,
ধর্ষিতাকে মানসিক ভাবে শাস্তি দিচ্ছে।
তবে কেন?
কী অপরাধ? নারী বলে জন্মেছি বলে,
তবে তাই যদি হয়।তাহলে জন্মলগ্নেই
হত্যা করে ফেল আমাকে|
আমি এই অভিশপ্ত জীবন চাই না|
যেখানে ভাইয়ের কাছে বোন নিরাপদ নয়,
যেখানে প্রিয়জনের কাছে প্রিয়জন নিরাপদ নয়,
এমন কী সবচেয়ে ভরসার নিরাপদ বাবাও যখন নিরাপদ নয়!
তখন কন্যা কোথায় যাবে?
এই ধর্ষনের ফাঁদ থেকে পালিয়ে|
নরপশুরা নিষ্পাপ, কোমল দেহকে রক্তাক্ত করে,
অবলীলায় ঘুরে বেড়ায় প্রকাশ্যে,
কিন্তু হয় না কোন বিচার|
অতঃপর আবার নতুন কোন স্বপ্ন
শিশিরের মতো মিলিয়ে যায় শূন্যে।