উত্তরের হাওয়া বয়ে আনে পৌষে শীতের বাহার
আঁকে হিমে উত্তর আকাশ কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি
শীতের নানান কবিতায় ধন্য কবিতার মাটি
কবিতার গায়ে লেখে কবি পৌষসংক্রান্তির কথা
হেলে পড়া ফসলের ক্ষেতগুলো-
কৃষকেরা তুলে আনে ঘরে নতুন বধূর মতো
জমিনে একাকী পড়ে থাকে খড়গুলো ভেজা চোখে
উঠোনের কোণে পড়ে থাকা এতিম শিশুর মতো
চাঁদের কুয়াশাধোয়া আলো
কাঁথায় মুড়ানো রাত্রি কাঁপে শীতের হিমেল হাওয়া
নাচ-গান খড়ের আগুন চলে নেড়া কাটা ক্ষেতে
সুগন্ধ ছড়ায় চালের গুরো জোসনামাখা হাওয়ায়
তবু উন্মীলিত আঁখি চেয়ে থাকে
শীতের সুদীর্ঘ রাত শেষে সোনালি রোদের দিকে
ভোরের পাখিরা জেগে ওঠে সূর্য উঁকি মারে ঘরে
উঠোনের ফাঁকে খেলে রোদ্র লুকোচুরি সারাদিন
পিঠাপুলি নবান্ন উৎসব আর খেজুরের রস
নলেনগুড়ের ভিড় জমে মুখের ভিতরে রোজ
মিষ্টি হাওয়া এলোমেলো মন
পাল্লা দিয়েই আকাশে উড়ে নানান রকম ঘুড়ি
আতশবাজির খেলা খেলে দেয় উড়িয়ে ফানুস
ফের রোদ্র নিভে নেমে আসে এক কুয়াশার সন্ধ্যা
বাতাসে ঝুলে থাকা কুয়াশা রাত্রিশেষে ঘুম ভেঙ্গে
মুক্তোর মতো সবুজ ঘাসে ঝলমল করে জ্বলে
ছোট্টো শিশুর হাসির মতো উত্তরের জনপদে।