কদমের কলষ্ক
-- -
তা তা থৈ থৈ
নাচে বৃষ্টি কদমের গা’য়
হলো অনাসৃষ্টি
জলধারা ভাসছে কদম রেণু
ঝুম-ঝুম শব্দ গহীন অন্তর
উদাসী বাতাস ওড়ে।
চাঁদের তীব্র আলো ম্রিয়মাণ
মেঘে ঢাকা শ্রাবণ- আকাশ
ভেজা মন জুবুথুবু
পিয়াসি প্রেমের মত্ত সরোবর
কেলেঙ্কারি ভাসছে কদম ফুল।
যুবতী কদম
-- -
বর্ষার কালো মেঘটা
যাচ্ছে ডেকে অবিরাম
নেচে ওঠে চরাচর
ভেজা বাংলার সবুজ ঘাস
কাদা মাখামাখি সর্বনাশী খেলা
খেলছে আয়নার আড়ালেই
কিশোর-কিশোরী ।
অতীতের শ্রাবণ
-- --
মা আমার তখন কদমফুল
অঝোরে বৃষ্টির মতো
ভেজে ভেজে এ-ঘর ও-ঘর
ছড়িয়েছে মাধুরি মেশানো ফুলের পরাগ
অডিও চালিয়ে গুনগুনিয়ে নিয়েছি
জিহ্বায় কত-না স্বাদ
একে একে পরাগগুলো ভাসিয়ে
মেঘ রোদ্দুর খেলায়
মা এখন
মধ্যবয়সী গাছের হলুদ পাতা।
আর আমি!
করোনার মতো বেপরোয়া
লাগামহীন কদমফুল
বর্ষার স্মারক হয়ে
স্খলিত করছি বিশ্বজগত।
প্রলয়ঙ্কারী মেঘ
--- --
উদাসী আকাশ কাঁদছে সারারাত
বিসন্ন বাতাস উৎসুক হৃদয়
রিনিঝিনি পায়ে
ঘুঙুর পরা টিনের চাল
নীল শাড়ি মেলেছে আঁচল
দিচ্ছে উঁকি মেঘমেদুর আকাশ
ভিজছে জানালা ভিজছে শয়ন
যুবক সময় করে আনচান।
কেন ডাকো এভাবেই তুমি
হিয়া যায় টুটে
নীল আঁচলের ভাঁজে ভাঁজে
ও প্রলয়ঙ্কারী আঁকছ কেন
ওভাবে আমার নিষিদ্ধ জীবনরেখা