শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরেই
লড়তে লড়তে আজও একবিংশ শতাব্দীতে
দাঁড়িয়েই অধিকার খুঁজে চলছ।
কিন্তু কেন?
নারী জাগরণের কবি
বেগম রোকেয়া বেগম সুফিয়া আরও অনেকেই
অনেক সংগ্রাম অনেক কষ্ট সাধন করে
নারী জীবনের কালো মেঘকে সরিয়ে
অধিকারের পথে দাঁড় করিয়ে রেখে গেছেন।
তবু কেন?
স্বাধীনতা নারীর এক উড়ন্ত পাখি
যখন ইচ্ছে তখন ভেঙে দেয় তার পাখা
সম অধিকার যেন অদৃশ্য জিঞ্জিরে বাঁধা
সোচ্চার ভুমিকা শুধু কাগজ আর কলমে
নীতির দুয়ারে নারী-অধিকার হতাশায় কাঁদে।
হ্যাঁ নারী তোমাকে বলছি
তুমি এখন প্রধানমন্ত্রী তুমি মন্ত্রী তুমি সংসদ সদস্য
তুমিই পৌরমেয়র বলো তো কথায় নেই তুমি
আছ তুমি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে
তবু এখনো কুকুরগুলো কেন শুকে শুকে
তোমার দেহের মাংশপিণ্ড খুবলে খায়?
একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কেন যে তুমি
রক্ষা করতে পারো না তোমাকে
রক্ষা করতে পারো না তোমার অধিকার?
তোমাকে দেখে শরীরে রাখে যারা মন
আরও ভেতরে ঢুকিয়ে দেয় লালসার চোখ
পক্ষপাতিত্ব করে তোমার সাথে
ফায়ার করো ফায়ার তাদের চোখে তাদের মনে
সাহসিকতায় ছুটো তুমি নও তো দূর্বল।
নারী এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও
বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেকে সফল করার জন্যে
তোমার একটি দিনের সম্মান
একটি নারী দিবস চাই না-কি মানুষ হিসেবে
প্রতিদিনের যোগ্য সম্মান?
তুমি নারী তুমি দূর্গা তুমি রাবেয়া বসরী
সৃষ্টির লগ্ন থেকেই তুমিই কল্যাণময়ী।
দূর করো অসাম্যের রীতি ভেঙে ফেলো অদৃশ্য শেকল
খুলে ফেলো পায়ের নূপুর তোলে নাও
একটি হাতে কলম আর একটি হাতে খড়গ
রক্ষা করো তোমার সম্মান
নাও ছিনিয়ে তোমার অধিকার
এ স্বাধীন দেশে একটি নারীও যেন অসম্মানে
আত্মহত্যা না করে আশ্রয় না নেয় আঁধার গলিতে।