বলতে শুনি কাঁদছে আকাশ কিংবা বৃষ্টি ঝরে
আমি বলি আকাশের স্তন বেয়ে অমৃত পড়ে।
বৃষ্টি, কান্না বা অমৃত বলো না __কী বলবে
তার দয়াতে পৃথিবীর বুক প্রেমালয় হয় উঠবে।
দুঃখ ভরা আকাশের বুক রোদনে পায় সুখ
দেখো দেখো! দেখতে পাবে ঝকঝকে তার মুখ।
গাছের পাতা মন-বেদনায় শুকিয়ে যায় ঝরে
অতঃপর নবপল্লবে ডালগুলো যায় ভরে।
পিচঢালা ঐ পথের ধুলো ওড়ে মলিন হয়ে
মেঘের কান্নায় মলিনতা যাচ্ছে দেখো বয়ে।
নদীর ঘাটে হচ্ছে জমা কতই এঁটো এসে
দেয় তবুও ঢেউয়েরা সব ধুয়ে অবশেষে।
ওড়না-শাটের ভাঁজেভাঁজে পড়ে যখন ধুলো
ঝেড়েঝুড়ে নাও না গায়ে! জড়িয়ে ওগুলো?
জীবন্ত প্রেম হত্যা করো অবিশ্বাসের হাতে
আবার ক্ষুধায় আকাশের স্তন চুষো দিবারাতে।
চাই যে ছুঁয়ে বাঁচতে আমিও আকাশের ঐ স্তন
তোমার স্মৃতির শূন্য ঘরে থাকব করেছি পণ।
মনের ভেতর আত্মহত্যা করছি কতবার
ভাবতে থাকি,আমি বুঝি মৃত মানুষ এবার।
জাগছি ঘুমে বাজছে তবু বুকে কলিংবেল
চাইছি থাকব তোমার মাঝে তবু দিচ্ছো জেল।
আমার সাথেই বারেবারে এমন হচ্ছে কেন
দেহটা আমার দুঃখ কষ্টের বন্ধ কফিন যেন।
আমিও যদি পাই ঐ স্তনে বাঁচার অমৃত জার
তবে থাকবে, তোমার প্রান্ত ঘিরে দু'চোখ আমার।
____________হাবিবা বেগম