ওকে পাগল বলে ডাকো!
তোমাদের মতো বাহারী রোদচশমা ও বোঝে না
পথে পড়ে থাকা এক্স-রে ফিল্মে কুসুম সূর্য চেখে নেয় ভরদুপুরে!
তোমাদের মতো নামী-দামী পোশাকে ঢাকে না শরীর;
সর্বত্যাগী দিগম্বরের মতো নির্দ্বিধায়...
রক্তবাহ ফুলে ওঠা সুঠাম শরীর
উদ্ধত তর্জনী দিবাকাশে ধ্রুবতারা খোঁজে!
ওকে পাগল বলে ডাকো!
ওর দেবতার মতো পুরুষালি পেশী; সাহস হয় না তাকাতে,
অদূরে দুই কিন্নর ভেঙে পড়ে কান্নায়; মিশে যেতে চায় মাটিতে।
ওর বজ্রনাদে লুকিয়ে জীবনের কোন মন্ত্র!
যে মন্ত্র খালপাড়ের অন্ধকারে ঝিঁঝিঁর অস্তিত্বের গানে,
যে মন্ত্র মণ্ডূকের স্বরথলি নিঃসারিত; সোহাগিনীকে কাছে টানে।
ওকে পাগল বলে ডাকো...
না হলে সভ্য পৃথিবীর অন্ধকার আকাশে ঘটতে পারে
অযাচিত অজস্র উল্কাপাত!