জীবনের কথা লিখতে বসলেই
আমার পাতা জুড়ে শুধু তুই
খেলা করিস, শ্রী।
আহ্লাদে আটখানা আমি
তোর শরীর ছেনে গড়ি কথামালা,
চাঁদ-সূর্য-পাহাড়-নদী-সাগর;--
তোর শরীর, অবাধ্য চাবুকের দাগ
জ্বলন্ত সিগারেট শরীরে
কি অক্ষর লিখে দেয়!—আমি জানি;
কোমলতা কাঠিন্যের সংঘাত, দেখেছি
ভালবাসা ঘৃণার সহবাস,
বুঝিনা, তোকে ঢেকে রাখে যে
অসংখ্য অধিকারের হাত;-- রক্ষা না ভোগের?
বিবেকের পাতলা পর্দা ছিঁড়ে তোর
অসহায়তায় জান্তব কবিত্বের থাবা!
তুই অমানিশা ঢেকে দিস্ চোখের আলো,
তোর শরীরে বিদ্রোহের গন্ধ
ভাষা ভোলায় আলেয়ায়।
বিদ্রোহ হয়ে ফাটিয়ে দে ভাববিলাসী শব্দের গ্লেসিয়ার,
ভাসিয়ে দে তথাকথিত সভ্যতার বুলি,
ধুয়ে দে পৃথিবী নতুন করে,
উঠুক চাঁদ-সূর্য; নদী সাগর হোক নির্মল
তোর স্পর্শে শিহরন জাগুক কবিমনে,
সত্য-সুন্দর হয়ে ফুটে ওঠ জীবন কাব্যে।