পাভ্‌লভের কুত্তা
ঘণ্টার আওয়াজ শুনতেই
লাফিয়ে উঠে সে কী দৌড়!
জিভ দিয়ে অনবরত লালা,
আমার-ও খিদে পায়; লালা ঝরে
তোর সঙ্কেতে পাগলের মতো খাবারের উৎস খুঁজি...
কোথায় বাজে ঘণ্টা!
পাগল করে দেওয়া ঘণ্টা!

তুই আর আমি একসাথে ঝরেছিলাম
অনন্তের হাত থেকে সীমার জগতে,
গ্যালিলিওর গোলকের মতো পিসার হেলানো মিনার থেকে
মাটি ছুঁয়েছিলাম একসাথে,
বাতাস হাতড়ে হাতড়ে অবশেষে মাটির গন্ধ;
মাতাল করে দেওয়া গন্ধ!
অনন্ত শয্যা রচিত ছিল অক্ষত...
হয়তো এমনই থাকে অবিকৃত কালের অসীম ধারায়!

মাটি ছুঁয়েছিল জ্ঞানবৃক্ষের ফল
শ্রী, তুই আমি আদম ইভ আজও বেঁচে আছি
জ্ঞানবৃক্ষের ফল আজও ঝরে,
অভ্যাসবশত আমরা একসাথে
কামড় বসাই নিষিদ্ধ ফলে
সব ঘটে আপন নিয়মে;
তোর আমার নিয়মের জীবনধারণ।