জানো, কি আছে মূলে?
কোন ইচ্ছা-স্বত্ত্বা বয়ে এসেছে কালের অসীমধারায়?
একলক্ষ্যে ধাবমান ভালবাসার বীজ,
শুধুই বাহক দেহ দাসত্ব করে চলে;
যখনই শুন্য দেহ আত্মা স্বরূপ
মিশে যাই পরমাত্মায়- এক ঈশ্বরে।
আমাকেই আমি নমি চরনে।
তরঙ্গ খেলে
ভাসমান তুমি-আমি এক কনা,
অদৃশ্য শৃঙ্খল আর মায়ার নাগপাশ,
সুগন্ধিত শরীর ভাসে দেহজ আনন্দ-ধারায়,
ঈশ্বর অসংখ্য কনা দেহ-দেহান্তরে।
মিলনোন্মুখ ইচ্ছা-তরী
অমুল্য রতন ভাসিয়ে দেয় কালের স্রোতে,
মন-ডুবুরী পায় না খুঁজে রতনরাশি।
যন্ত্রণার জীবন কেটে যায় প্রকাশের অপেক্ষায়,
ফুল ফোঁটার রাত শেষ হয় না।