কোথায় দাঁড়িয়ে তুমি?
কোন পথের বাঁকে প্রসারিত বাহু?
আমি পথভ্রান্ত কথার জাল আর
কালবোশেখির থমথমে পূর্বাভাসে,
ঝড়ের আগেই ধরবো তোমার হাত এই ভরসায়
ম্লান গোধূলিতে কালের ঘড়িতে জমেছে শ্যাওলা।

কোদাল-গাঁইতি হাতে একদল কিছুদিন
আগে খুঁড়েছে তাজমহলের ভিত,
ওদের জমাট মৌনমিছিল চলে গেছে মিশরের পিরামিডে,
ব্যাবিলনে ঝুলন্ত উদ্যানে অভিসারে কুলকামিনী।

আমি তোমাকেই খুঁজছি, শুধু তোমাকেই,
কোন পথের বাঁকে তোমার প্রসারিত বাহু?
তুমি কি ভেঙে পড়ার শব্দ শুনছো? সভ্যতার?
শব্দ শুধু ধ্বংসের হয়! সৃষ্টির!
নিঃশব্দে নীলাকাশ জুড়ে পেঁজা মেঘ ভাসে,
আমি ভাসি কালস্রোতে;--ব্রহ্মহীন।
আমার চেতনা উরাল-হিমালয় পেরিয়ে
তোমায় খোঁজে; অনিঃশেষ মায়ায় ধরতে চায়  হাত।

ইসরোর পুষ্পক রথ এইমাত্র পাড়ি দিলো মঙ্গল বিকট শব্দে,
উৎসবে প্রতিটি রাস্তায়, দোকানে দোকানে সাজানো কালের কঙ্কাল,
এরই মাঝে গলায় ঝোলানো মরার খুলিতে জল
পিঠে পাহাড় ভাঙ্গা পাথর এক ফুটফুটে দেবদূত
দেহরক্ষী দুইপাশে চর্বিময় বরাহ।

আমি খুঁজছি দিগভ্রান্ত আমাকে, আর স্থির তোমাকে,
কোন পথের বাঁকে তোমার প্রসারিত বাহু?
ছুঁতে চায়, যে হাত ধরে দেখবো হিরন্যগর্ভ,
সুপ্তোত্থিত অলির মতো আমার ঘ্রানস্নায়ু
তীক্ষ্ণ থেকে তীক্ষ্ণতর হচ্ছে কস্তুরী গন্ধময় পথে,
তুমি দাঁড়াও, আমি আসছি!
কালের নাগরদোলায় আমার মাথা ঘুরছে
তীব্রতর হচ্ছে বমনেচ্ছা,
জানি তোমার অপরাহত কালের পরশে
আমায় বাঁধবে;--দাঁড়াও, আমি আসছি।