গনতন্ত্রের হাস্যকর ধ্বজা ওড়ে
চুপ-কথার উপাখ্যান রূপকথার ঢঙে
মৃত্যু উপত্যকা গ্রাস করে আমার প্রিয় বাসভূমি
স্বাধিকারের কথা বলেছি উচ্চস্বরে!
সংযোগহীন এক টেলিফোন তার আমার
হৃদয় থেকে বহুশাখা মেলে
ছড়িয়ে আছে পৃথিবী জুড়ে,
ওরা বেঁধে দেয় আমার নতুন ঘর
অনেকটা ঠিক খেলার ঢঙে
ছিন্ন করে সব সংযোগের তার
রক্তচক্ষু শাসনে ফিসফিসে স্বর
গরম ভাতের ঘ্রান বদলায় নির্ঘুম প্রহরে
ওরা মুষ্টিমেয় জানি, তবু মনে হয় সর্বশক্তিমান
ওদেরই আজ্ঞাবহ শক্তির প্রকাশ ঘটায়
নরম মাটির শরীরে রক্তাক্ত আঁচড়ে
আমি চাইনা এমন সভ্যতার ধারা
রসেবশে আস্কারা পায় বৈষম্যের কীট,
আমার নেই দাদনে বাঁচার তাগিদ
আমি কোনো এক উৎক্ষেপিত মিসাইল
ফেটে যাবো আকাশে; ছড়িয়ে পড়বো
সারা পৃথিবীর সব মৃত্যু উপত্যকায়
জমানো বারুদে স্ফুলিঙ্গ হয়ে
একদল দধীচির হাড় দিয়ে খোঁড়ে উষর ভূমি
ঢেলায় খোঁজে যুদ্ধের কাহিনী
ওদিকে রিমোট-কন্ট্রোলে ফাইটার প্লেন
ওড়ে ঘুম ঘুম বিলাসী চোখে ঘরের সিলিঙে
এসো মৃত্যু উপত্যকার জীবন; এসো বঞ্চনা
জাপটে ধরি তোমাদের দমবন্ধ ধোঁয়ায় নির্লজ্জ পিরামিডে
মমি হয়ে থাকো চিরঘুমে
বিচ্ছিন্ন কোনো বিন্দু নয়; কাঁধে কাধ হাতে হাত
মিশে থাকবো অনন্ত সরলরেখায়
মনে রেখো সেইদিন বন্ধু, মনে রেখো আমায়...