শ্রী, তোর ডাকে ভোরের আজানে
জেগে দেখলাম নবাগত শৈত্য
শুষ্ক চামড়ায় টান, ঠোঁটে রক্তরেখা।
ছিলাম রাজার বেশে আলোর দেশে
ছায়া পড়েনা আবার কায়াহীনের ছায়া
চেনা পাপ! চেনা পাপ! লুকোনো যায় না ক্যানভাসে।
তুই টেনে নামালি পৃথিবীর পথে
জীবন হাজির অতিথি নারায়ন বেশে
হেসে বলে;-- আমায় দেখেছে স্বপ্নদেশে,
সচকিতে আমি মন্ত্রের পাতা দুহাতে নিয়ে
অট্টহাসি হাসলাম; ভস্ম করবো সেই অভিলাষে,
জীবন হয়ে গেলো সাদা ক্যানভাস।
শুরু হলো রঙের খেলা, শুধু রঙ চারিদিকে
বিড়ম্বনায় যেমন খুশি রঙ ছড়াই ক্যানভাসে
ফুল ফোটে ঝরে যায়
নীলাকাশ পেঁজা মেঘ কালো, সাদা, আবার কালো!
তোকে দেখাই হলুদ ফুল, সোনা রঙ, চেতনার শাখা বিস্তার
আগে কালো হয়ে ছিল!
জটিল দুটো দাগ মুছতেই মুখাবয়বে সরলতা,
তুলি হাতে ক্যানভাসে আমি রাজা, যেমন খুশি কিনি-বেচি,
হৃদয় ভাঙি মাটির পুতুলের মতো যখন-তখন,
খুশীতে ডগমগ তুই সোজা আমার আরামকেদারায়
মুচকি হেসে বললি;--জীবন বেশ ভালো, তাই না!
আদুরে হাত বুলিয়ে চুম্বন দিলি ক্যানভাসে,
খুশীর রঙ চিনতে পেরে আমিও খুশী
ছড়াতে পাড়ি যেমন খুশী তৈলাক্ত শরীরে।
খরচ হতে থাকলো পৃথিবীর সব রঙ
তুলি নির্দ্বিধায় গায়ে মাখে; আঁচড় কাটে
ইচ্ছেখুশী ক্যানভাসে নানান অভিব্যক্তিতে দিনেরাতে,
অমানিশায়-জোছনায় বদলায় ক্যানভাস।
অধৈর্য আমি বর্নান্ধ হলাম, নিস্তেজ স্নায়ু
হাত অসাড়, তুলি খসে যায়।
এলো ঘুম, সহসা ঘুম এলো;-গভীর!
শরীরে জ্বলে উঠলো আলো, ছায়াহীন এক শরীর।
এইমাত্র কনিষ্কের রাজ্যপাট ছেড়ে এলাম
এখানে মাথা থাকা বা না থাকার কোনো অর্থ নেই!
কারন, এখানে বদলে যাওয়ার কোনো রঙ নেই...