বন্ধু, আমি দল বুঝি না,
আমি রাজনীতি বুঝি না,
আমি রাষ্ট্র-বিজ্ঞান বুঝি না,
আমি ঘুম ভেঙে পাই মাথার উপর নীল আকাশ—সীমাহীন,
অকৃপণ সূর্যের আলো সমান ভাবে পড়ে
তোমার আমার পৃথিবীতে,
অপুষ্টিতে ভোগে না কোনও হতভাগ্য
পরিপুষ্ট ডোবারম্যান-ল্যাব্রাডরের সাথে,
ঝাঁ চকচকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নয়
অন্তত বর্ণপরিচয়-ধারাপাত আর
উন্মুক্ত প্রকৃতির শিক্ষার ডালি থেকে
জীবন খুঁজে নিক পূর্ণতা।
বন্ধু, তোমরা আদর্শের সাথে ঘর বাঁধো;-- আমিও বাঁধি!
মোটা মোটা বিপ্লবের বই পড়ো;-- আমিও পড়ি!
আমার আদর্শ স্বতঃস্ফূর্ত আত্মিক আনন্দে বাঁচা
আমার বিপ্লব বুক ভরা অমলিন বাতাসে
আর স্লোগানে উৎসারিত সারাদিনের একখানা কবিতা।
জ্যোৎস্না মাখা তোমার হাল-ফ্যাশানের জানালা
আমার অভাবের ঘরে অভিমানী শুকনো মুখাবয়ব
বুঝে নেওয়ার মতো আরেকটু কাল বাঁচতে চাই!
দাসত্ব নয়; ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে নয়--
উন্নত-মস্তক বাঁচতে চাই,
শপিং মলের বিদেশী ব্র্যান্ড নয়
অন্তত একটা নতুন কাপড়--তাঁতে বোনা;
পরার অধিকার আমার আছে।
বাঁচার মতো বাঁচা যায়,
তোমাদের সমাজ-বিজ্ঞানে ‘ন্যুনতম চাহিদা পুরন’—
গালভরা নাম দিয়েছ!
এত তো কৃপণ নয় দেশমাতৃকা!
বন্ধু, আমি দল জানি না—আমি দেখেছি নগ্ন বুভুক্ষুর মিছিল!
আমি তোমাদের বলছি;--হ্যাঁ বন্ধু, শুধুই তোমাদের,
চলো, বাঁচার মতো বাঁচি--বুঝে নিই প্রাপ্যটুকু...