শ্রী, তুই শরীরে আমার উইঢিবি দেখতে চাস্!
অতখানি আত্মমগ্নতা নেই আমার!
শ্রী, তুই আমায় ট্রামের চাকায় জড়াতে চাস্!
আমি আনমনে কাব্যের মেঘ দেখিনা আকাশে;
দেখিনা কোনও রোদ্দুরে গাংচিল,
ট্রাম আমাকে মারবে না;
অতখানি আত্মমগ্নতা নেই আমার!
শ্রী, তুই আমার আবক্ষ শ্মশ্রু দেখতে চাস্!
অভ্যাসের দাস আমি; সচেতন ক্ষুর চলে রন্ধ্রে রন্ধ্রে,
দাড়িতে হাত বুলিয়ে আমি মহাকাশ দেখিনা;
অতখানি আত্মমগ্নতা নেই আমার!
আমার শৈশব ঠাকুরমার ঝুলিতে,
কৈশোরে জলপরীর স্বপ্নে মগ্ন দেহ মন
পুলক জাগে অঙ্গে-উপাঙ্গে,
যৌবনের বাগিচায় তুই সূর্যমুখী
তামসিক জড়বৎ আমি রমনপ্রিয়,
রক্ত-মাংস কাব্য দাপিয়ে মরে বুকের খাঁচায়।
শ্রী, আমি তোর কবিবর
বাল্মীকি, জীবনানন্দ বা রবি ঠাকুর হতে পারবো না,
অতখানি আত্মমগ্নতা আমার নেই রে!
তুই ছাড়া আমি আত্মমগ্ন হতে পারি না;--চাই না।