দিয়াছ যাহা, ত্রাণের মতো তাহা!
কাঁকড়ের গুঁড়ার মতো যে রৌদ্র এখন স্থির
থাকে পৃথিবীর বুকে, তা স্থির তবু নয়- যেমন তুমি
ফিরিয়াছ প্রথম অগাধ আলোয় ধীর
পায়ে ফের: নিভিয়াছে বলে শিখা সে, তার মমি-
যে শিখা জ্বালায়েছ স্তব্ধ অন্ধকার অসাড় স্পৃহা
ভর্তি সুরঙ্গ পাড়ি দেবে বলে আমার বুকের ভেতর-
তিমির মতো অগাধ নীল আঁধারের গায়ে পড়ে থাকে নিরন্তর!
ঊর্ধগামী সুরের মতন বসুধা বয়সের সিঁড়ি বায়;
তবু মৃত্তিকা তুমি, গোধূলীর ক্লান্ত জলের দিকে তাকায়ে নদীর কিনারায়
তোমার উপর আমি ঘাস হয়ে জেগে আছি আজ
অবধি! সব কাজ
নিভে যায়, মিশে যায় শুধু তোমার সাথে ধূলাবালি হয়ে!