তুমি এক তমসা!
তোমার গায়ে কিছু নীরদের আনাগোনা,
ক্ষণে ক্ষণে সেথায় ক্ষণপ্রভা!
আমি আঁতকে উঠি, চমকে যাই; কোনো ভূমিকা খুঁজে পাইনা।
শুধু বোবা বৃদ্ধের মতো প্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি,
তবু স্পষ্ট দেখি ওই কনকে মোড়ানো চোখ!
সেখানে নক্ষত্রের বৃষ্টি হয়, আধখাওয়া তারাপতি জোছনা ঢেলে দেয়;
আলোকিত হয় একটা সুরঙ্গ!
আমি সেই সুরঙ্গ ধরে চলে যাই;
কোনো এক সময় তোমার করোটিকার দেয়াল ঘেঁষে ক্লান্ত হয়ে বসে যাই।
হঠাৎ আমাকে ধাক্কা দেয় এক বিচিত্র পবনের স্রোত;
আমি সেই স্রোতে তলিয়ে যাই,
ক্লান্তিকে উপভোগ করি যেন প্রথমবারের মতো!
কুয়োর নীরের মতো কিছু অনুরাগ তুলে আনি
তোমার হৃদয় থেকে, করি অবগাহন,
সুবাসিত হই এক বিস্ময়কর সুবাসে!
তোমার মস্তিষ্কে রোপণ করি কিছু উচ্চারণ।
ফিরে আসি আবার সেই বোবা বৃদ্ধের মাঝে।
অংশুমান তিমিরের বৈরী হয়ে আসতে চায়;
মুহূর্তেই এক ভয়ঙ্কর দাঙ্গার আবির্ভাব হয়!
তবে ভয় নেই, পালিয়ে বাঁচে সব ভোর;
বধ হয় সেই আতশপিন্ড!
হে তমসা, তুমি আরো গাঢ় হও, গাঢ়তম হও।
তন্দ্রাবিলাস নাহয় স্থায়ী হোক কিছুদিনের জন্য;
অথবা বহুদিনের জন্য;
অথবা চিরদিনের জন্য!