শহরের আকাশ থেকে নিয়ন ঝরে
বিস্তীর্ণ রাত্রিকালের অক্ষরে অক্ষরে;
মৃত ঘাসের মত ম্লান চোখে
গোধূলি জমে- বকেরা ফিরে আসে নীড়ের দিকে;
আলগা আলোর পিছনে শহরের পথে
অনেক দ্বন্দ্ব নিয়ে মনের সাথে
স্তব্ধ চুরুটের কঙ্কালের
নিচে কতবার ছাই বিছিয়ে দিয়েছি ইন্দ্রজালের।
নক্ষত্রের চেহারা তীব্র বনে শৃগালের কান্নার মত
মনে হয়; কোল মেলে রাখা বিগত
পৃথিবীর ধোঁয়াময় মিশরীয় রক্তনালির
চেয়ে ভিন্নতা আসে নাই বোধ'য় নিয়নে মোড়ানো ধুলাবালির!
মাতালের মত নির্জ্ঞান মনের জানালা ভেঙে লাফিয়ে গাঢ় দাঁড়ির ভিতরে বাসা বেঁধে
ফেলে কোমল দুঃখ; ধূসর আহ্লাদে
অন্ধকারের স্রোত লেগে নীল হয়,
নীল হয় বুকের গভীরে ব্যাথা, কথা, অসুখ, ভয়!
উটপাখির ডানার মত জীর্ণ এমন রাত্রে
শৈল্পিক ঝিনুকের বিভ্রম কৃত্রিম বৃক্ষপত্রে
ছড়িয়ে থাকে; প্রস্তর দ্বীপের ধারালো জ্যোৎস্নায়
দেহ কাটা পড়ে আমার- মানসিক দেশের ডাঙায়
অনেক ছায়া মোমের আগুনের মত নাচে,
শঙ্কিত বাতাস ছুঁয়ে যায় আনাচে কানাচে;
তবুও বাঁকে বাঁকে কুকুর কুকুরীর ছায়ার ভিতর
প্রেম, সঙ্গমের তৃপ্তিজলে ভেসে যায় দানবীয় নিশাচর।