পিত্তরঙের কিছু দুপুর জমা আছে;
শোনা যায় হলুদ হেমন্তের মতো
এদের কোনো মন নেই,-
তবে এদের কালজয়ী নীরবতা থাকে,
নীরবতা বারবার নিয়ে আসে প্রিয়াকে!
প্রিয়াকে এড়ানো যায়, তবে আকাশের পোড়া গন্ধ
এড়ানো যায় না; শহরের সব দরজা বন্ধ
থাকে কি যেন নিবিড় আশঙ্কায়!
বইপত্র এলোমেলো জঞ্জাল- জীবনের মতো;
বইপত্র গোছানো সহজ, তবে জীবন গোছানো
সহজ নয়; এইসব ঝামেলা বাদ দিয়ে
এক গ্লাস রোদ পান করে আমি বিবশ পথের উপর শুয়ে
পড়ি, স্বচ্ছলতা থেকে দূরে
সুন্দরী দুপুরের সমাধির উপরে।
মনে পড়ে- একদিন এ শরীরে এসেছিল অজস্র চিঠি,
অজস্র উৎসবের পৌরাণিক ঘ্রাণ,-
যেসব দরিদ্র উদ্যান
এখন মেলডিক আদর খুঁজে ফেরে,
তাদের হৃদয়ের সবুজ প্রেম;
কাঁথা মুড়ে উড়ে যাওয়া শিশুদের পরিপাটি
স্রোত আমার যৌবনের ভস্ম জানালাটি
ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়;
প্লেনের শব্দ মাথার ভেতরে ডিম পাড়ে,
রক্ত কাফনের মতো সাদা মেঘ হয়ে পাহাড়ে পাহাড়ে
চলে যায়; মন ভেসে যায় গাঙচিলের মতো সাগরের কাছে;
শরীর শূন্য করে রক্ত চলে যায়, মন চলে যায়;
আত্মা শূন্য করে চলে যায়;
রূপকথা আসে, তবে রূপ তার চেহারায়
মরে গেছে কবে কিসের ইশারায়
সেও করতে পারেনি ঠাহর!
বিদ্যুতে বিদ্যুতে অন্ধকার, এই চড়া আলোয়ও শহর
অন্ধকার হয়ে থাকে; কিসের মতো?
"কিসের মতো?" তা জানতে চায়নি আর
ক্রুদ্ধ রোদের উপর শুয়ে ঠান্ডা ছায়া আমার।