নগরীর এইসব বেলা, এইসব এলোমেলো যান ছুটিতেছে-
কোথায় এলোমেলো ছুটিতেছে শুধু?
পথ ছেড়ে পথে, সময় ছেড়ে সময়ের দিকে?
মানবীয় জীবন সীমারেখা টানিতেছে ফুটপাত চষে-অনেক পথ ঘুরে
ঘুরে; মিশে গিয়ে ভীড় থেকে ভীড়ে, শোর থেকে শোরে।
কাকেদের যারা বর্ণবাদের অম্লে পুড়ায়েছে তারা বলে- এইখানে
কোনো পাখি নাই-কোনো পাখি নাই; কি এক অঙ্কুশ তাড়নায় বিদ্যমান
হয়ে আছে এইখানে এইসব গাছ- আমিও তাদের মতো;
তবুও শরীর সাধনার স্বাদ নিতেছে এখন-শুরু থেকে শেষ-
তোমারে পেয়েছি বলে-একটি দিনের পর রাত্রিরে
যেমন ছুঁতে পায় জোৎস্নার হাত- সেই আদলে।
অনেকদিন গেছে চলে-অবহেলায়-তুমি ছিলে
কোথায়? অকূল পাথারের বুক চিরে ত্রিস্তান দ্বীপের অনুরূপ
থেকে গেছো-থেকে গেছো বহুকাল চুপ;
কেহ নিতে পারে নাই খুঁজে; সেই একই দলে
আমিও রয়ে গেছি বহুদিন এই পৃথিবীর 'পরে,
এই অগোছালো নগরে-
একা ঘুরে ফিরে।
কানাগলি-রাজপথ, সাদামাটা আকাশের নিচে তুমি আছো বলে-এখন-
সাগরের ঢেউয়ের মতন
হৃৎস্পন্দন;
এই বিস্তীর্ণ কোলাহলে জরাজীর্ণতা শুকায়েছে,
সব দুর্গন্ধ মুছে অপরাহ্ণ বের
হয়ে এসেছে শরীরের
'পরে এই নগরের।