পূর্ণ স্নানে বিগলিত প্রানে
      আনন্দ ধারা বয়
প্রত্যেকে যেন উদার চিত্তে
       সে কি স্বছন্দময় ।

ঢেউ ভাঙ্গে যেন শিখর সম
    মধুর উল্লাস মেখে গায়
এই যে হেথা আনন্দ তীর্থ
     আর যেন কোথাও নাই।

বিস্তর ফেরে মানুষের ঢল
      চর,তীর সকল ভুঁই
সমুদ্র যাত্রাই আসল যাত্রা
   যেন সকল হৃদয় দিয়েছে ছুঁই।

এমন করে আনন্দ বহে
    বহে খুশির অমৃত ধারা
প্রাঙ্গন ভরি উপকরনও তারই
    যেন মেলায় রয়েছে তারা।

নানা খাবার, ঝিনুক মালা
      কড়ি শঙ্খর বেলা
রঙ্গিন আলো, চা কফিও
      ঘোড়ায় ছুটে চলা।

থাকে থাকে জড়ো সন্ধি
  মানুষ রয়েছে বসে দাঁড়িয়ে
ক্ষনিক স্তম্ভিত হলেম তাহার মাঝেও
   কে, রয়েছে পুঁথির মালা বাড়ায়ে।

বাবু নেবেন পুঁথির মালা
      ছোট কন্ঠের সুর
চেয়ে দেখে অবাক হলেম
   কে- বয়স সাত বড় জোর।

যেথায় মানুষ কড়ি ওড়ায়
         ধোয়ে বজ্র ভার
তাহাতে বাঁচে এদের প্রান
        ঘর বাড়ি সংসার।


সবার মাঝে আনন্দ আছে
   সে দুঃখ লুকিয়ে রেখেছে তার
দুটো খাবার চেয়ে ফেরি করে
   কোল ছাড়া সে, স্নেহভরা মা'র।

তারাই হেথায় আনন্দ বিলায়
    এমনই কত চেয়ে থাকা মুখ
এসো পর্যটক, এসো হেথায়
        ধরো এদের অন্তর দুখ।

এমন করে এসো সবাই
    এত আনন্দের মাঝে
বোঝ, নাই বা বোঝ এদের
    মন্দ করো না যে।

আপন ভেবে মিষ্টি গলায়
       নিও কিনে মালা
বেঁচে থাকুক স্বপ্ন দেখুক
    বাঁচিয়ে রাখুক এই তীর্থ মেলা।