একি প্রিয়ে ? তুমি আনমনা !
আঁখি কেন এত অশ্রুসজল ?
কে দিল এত দুঃখ সখী,
কে করিল এত দুর্বল !
কি বলিব তোমায় সখা,
কত বলিব আর বারম্বার;
লোকে বলে মোরে সন্তানহীনা,
জননী কি হইবনা আর ?
কবে পাইব সন্তান আমি ?
বক্ষে ধরিয়া করিব স্তন দান,
ক্ষুদ্র বাহু দিয়ে মোরে,আলিঙ্গন করে,
ভরিয়া দিবে মোর মাতৃপ্রাণ।
কবে ভরিবে মোর,শুন্য মাতৃক্রোর ?
কেমনে পূরণ করিব এ শূন্যস্থান!
বলো সখা মোরে,ছলনা না করে
কবে দিবে মোর কোলে একটি সন্তান ?
কত সাধ মোর,আছে কত আশ
জননী বলিয়া ঝাঁপাইয়া পড়িবে কোলে;
জুরাইবে বক্ষ, মিটিবে মোক্ষ
আয় বাছা বলে লইব কোলে তুলে।
ক্ষুদা পীড়িত স্বরে,ক্ষুদা নিবৃতির তরে
ব্যস্ত করিবে মোরে জননী বলিয়া,
কত সোহাগ ভরে,পর্যাপ্ত আহারে,
শান্ত করিব তারে শিরে চুমিয়া।
কবে হইব জননী,কবে লইব কক্ষে ?
বলো সখা মিটিবে কবে মোর আশ ?
কবে লইব স্বস্থির স্বাস এ বক্ষে !
কেমনে মিটিবে মোর মাতৃবিলাস ?
শান্ত হও সখী, তুমি মোর জননী;
কেন তব এত, কিসের বিলাপ ?
আঁখি মেলিয়া দেখো,সন্তান আমি
তবে কিসের তরে এতো পরিতাপ ?
ক্ষুদা নিবৃতির তরে, তব দ্বারে
যদা করি অশ্রুহীন ক্রন্দন।
পরম স্নেহে তুমি,আহার দাও মোরে
দেখোনি কি তদা মোর সন্তানসম আচরণ ?
ব্যাধিতে যদা জর্জরিত দশা,
বেদনায় কাতর হইয়া শয্যাগত;
তব পানে হেরি লইয়া সেবার আশা
আদেশ মানি তব,হইয়া সন্তানসম অনুগত।
মোর গভীরে প্রবেশিয়া দৃষ্টি হানো,
হৃদয়ের অনুভবে দেখো, মিটিবে তব আশ;
স্বামীও আমি সন্তানও আমি একথা জেনো
পাইবে মোর অন্তরেই সন্তানের বাস ।
না প্রিয়ে, তুমি হয়োনা আনমনা !
মোছ তব আঁখিজল ।
হইয়ো না এত দুঃখী সখী,
হইয়ো না এত দুর্বল।