ভেবেছিলাম মাস্টার হব,
কত ছেলে পড়াবো।
প্রশ্ন করবো বসে বসে
বলতো বল্টু কষ্ট পেলে মনে,
চোখ কেন জলে ভাসে?
এমনি করে অনেক প্রশ্ন করতাম একে একে,
সে সব আর হলো না কো ছাই,
কি হবে স্বপ্ন দেখে?
এখন তবে দিব্যি আছি,
না পাওয়ার স্বপ্ন ভূলে -
আমি তাই কাজ করি হোটেলে।
সাধ হয়েছিলো ডাক্তার হবার
অসুস্থকে সুস্থ করার
দায়িত্বটা নেব কাঁধে,
কোন্ সময়ে কোনটা খাবেন
নিয়মটা দিতাম বেঁধে।
বেডে গিয়ে রুগী দেখে
ঔষুধ দিতাম লিখে,
নয়তো রুগী আউটডোরে
দেখতাম একে একে।
স্বপ্ন এখন স্বপ্নে সে সব গেছি ভূলে -
আমি তাই কাজ করি হোটেলে।
হতে চেয়েছিলাম ইঞ্জিনিয়ার
করতে নিত্য নতুন আবিষ্কার।
স্কেলটা ধরে ড্রয়িং দিতাম এঁকে,
প্রজেক্টটা যে হতো শুরু
সেই ড্রোয়িংয়ের মাপে।
অল্প জায়গা স্বপ্নের বাড়ি বানাতে চেয়ে
শয়ে শয়ে আসতো যে লোক
আমার কাছে ধেয়ে।
সংসারে চাই একটা রোজগেরে ছেলে
আমি তাই কাজ করি হোটেলে।
ভেবে ছিলাম ব্যবসা করার কথা
সে সব নাকি বৃথা,
নেইকো টাকা যার।
ব্যাংকে ব্যাংকে লোনের জন্য
ঘুরেছি কতবার।
মরগেজ রাখার মত কিছুই ছিলো না,
সেই কারণে ব্যবসা আর শুরুই হলো না।
সে সময় বাবার কাজটাও হয়েছে বন্ধ
সেদিন হতে শুরু হলো
বেঁচে থাকার দ্বন্দ্ব।
একটা চাকরির খুব দারকার
ঘরে বেকার ছেলে -
আমি তাই কাজ করি হোটেলে।
ছোটো থেকে বড়ো হয়েছি
খেয়েছি বাপের হোটেলে,
সেই হোটেল চালানোর দায়িত্বটা
আজ নিয়েছি কাঁধে তুলে
আমি তাই কাজ করি হোটেলে।
---------