আমরা সবাই ছুটছি
যে যেদিকে পারি বড়ো হওয়ার জন্য
যশ অর্থের জন্য ছুটছি,
আমরা থামতে শিখিনি
ভাবছি না স্বর্গে নয়, সবই পাতালের দিকে
নেমে যাচ্ছে।
এক নামী দামী পত্রিকার সম্পাদক
পুজা সংখ্যায় সুন্দরী মেয়েটির একটি উপন্যাস
প্রকাশ করবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে হোটেলে
সারারাত দেহভোগ করলেন
দেহ মনের পবিত্রতা বিসর্জন দিয়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য না থেমে মেয়েটি তবু ছুটছে।
ছেলেটি সুখের সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখে
বাপের হাতের তালুতে গরম চা ঢেলে দিয়ে
ঘাড় ধরে ঘর থেকে বের করে দিলো।
ভুল হলেও ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করে বললো," আমি কখনো অন্যায়কে টরালেট করবো না"
সে জীবনে ছুটতে ছুটতে সাইন করতে চায়
থামতে শেখেনি, দেখেনি সবই পাতালে
নেমে যাচ্ছে।
এই যুগেরই কোন বিখ্যাত কবি
বড়ো পুরস্কারের লোভে মুখ্যমন্ত্রীর পিছনে ছুটছেন,
হয়ে উঠেছেন খেঁকি কুকুরের মতো,
কারো পায়ে কামড় দিচ্ছেন,মন্ত্রী ভালোবাসলে তাঁর
পা চাটছেন।
কাজের মেয়েটি সেদিন এসে কাঁদতে কাঁদতে বললো ওর ছেলে গলা টিপে ধরেছিলো
ওকে সংসারে রাখতে চায় না।
বিয়ে করে দুবছর যেতে না যেতেই
একদিন আমার জীবনসঙ্গিনী বললো," তুমি শুধু
জীবনে থামতেই শিখেছো ছুটতে শেখোনি,
কী আর আর করলে জীবনে কতকগুলো ছেঁড়া বই আর খাতা ছাড়া?"
মা আমার তখন অদৃশ্য থেকে হাসছে কারণ
মা তো জীবনে সরল হয়ে নত হয়ে থামতেই শিখিয়েছে
ছুটতে শেখায়নি।
অনুভব করলাম আমার ডান কাঁধে
মায়ের শীতল শ্বাস পড়ছে।