আমাকে সবাই মেধাবী ছাত্রী বলেই জানে,
বয়স সবে ষোল; স্কুলের গন্ডি,
পার হয়ে ওঠা হয়নি এখনও
শরীরে সবে বসন্তের জোয়ার!
বুকের গড়ন!
চেহারায় ফুটে উঠেছে লাবন্য।
বাবা নেই, মায়ের কাছে সেই ছোট্টটি,
তবে পাড়ার লোকের চোখে-
ধিঙ্গি মেয়ে।
বাবা নাথাকায়!
ঘরের কাজ শিখেছি, পরিপাটি করে।
মা যায় কাজে,
ঘর সামলাতে হয় আমাকে।
রানা করা,বাসন মাজা ইত্যাদি ইত্যাদি...
পাড়ার কিছু ছেলে
ভোমরের গুন গুন শুনিয়ে ছিল কিছু দিন,
তবে তা স্থায়ী হয়নি,
পাড়ার লোকের কান ভাঙানিতে
বিয়ে দিতে বাধ্য হয় বিধবা মা।
কর্তা কেরানির চাকরি করে।
বয়স আমার থেকে গন্ডা খানিক বেশি।
আমার উপর তার বড্ডো দয়া।
আমি নাকি তার লক্ষ্মী।
তবে পনের টাকা গুনেছে কড়াই গন্ডায়।
চোখ জুড়িয়েছে পাড়ার লোকের।
এটাই শেষ বিদায়!
শ্বশুর বাড়িতে কতো যত্ন
মনে হলো এটাই স্বর্গ।
বাসর রাতে কর্তার ঘুমন্ত পশুটা
আমাকে ছিঁড়ে খেতে লাগল
আমি অজ্ঞান, জ্ঞান ফিরল রক্তাক্ত বিছানায়।
শিয়রে মা বসে আছে
সকলে আঙ্গুল তুলেছে আমার অক্ষামতায়।
মায়ের চোখে জল,
বসন্তের অকাল মেঘে
চারিদিক অন্ধকার,আর কালো মেঘের গর্জনে
মিলিয়ে গেল আমার চিৎকার
একটু একটু করে চলেছি অজানায়
সবে বসন্ত এসেছিল! অকালে।