কবিতাটি বাস্তবে এক অভাগিনী জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে লিখা, যে বাসর রাতের পরদিন ছোটবেলায় পুড়ে যাওয়ার কারণে শ্বশুর বাড়িতে এসে লাঞ্ছিত হয়ে বাবার বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছিল:
আমি এক অভাগিনী !
যার স্বপ্ন কোনদিন হয়না পূরণ,
জন্ম থেকে কৈশোর, যৌবন কিংবা
বিবাহিত জীবনে এসেও।
কতশত স্বপ্ন ছিল হৃদয় মাঝে
আজ, সব স্বপ্ন ভেঙ্গেই আমার জীবনের শুরু,
তাই, স্বপ্ন পূরণের খাতাটা আজও শূন্য।
বুঝতে শিখেছি আজ স্বপ্ন ভাঙ্গার ব্যথা
তাই আমি ছেড়ে দিয়েছি স্বপ্ন দেখা।
আজ, কত কষ্ট, ব্যথা আর জীবনে ঘটে যাওয়া
সীমাহীন লজ্জায় -
স্বপ্ন বিহীন কাটে- প্রতিক্ষণ, প্রতি রাত।
জীবনের চরম ব্যথায় ব্যথিত হয়ে ছিলাম সেদিন
সাতপাকে বেঁধে, ললাটে সিঁদুর দিয়ে-
যে হয়েছিল, পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন,
সেই আবার সব ভুলে কলঙ্কের কালিমায়-
ঢেকে ছিন্ন করলো, সকল মায়ার বাঁধন।
সত্যিকারের অভাগিনী হয়েছিলাম সেদিন
যেদিন, আমরাই প্রিয় নির্বোধ আপনজন,
লজ্জার মাথা কেটে, নির্বোধ পাষাণ হয়ে-
বিবেকহীন হিংস্র নরপশুর মত,
উলঙ্গ করেছিল আমায় জনসম্মুখে-
এক এক করে দেখিয়েছিল আমার স্তন, সর্বাঙ্গ,
এমন কি, নিম্নাঙ্গ পর্যন্ত দেয়নি ছাড় ।
আজ, কতশত স্বপ্নকে পিছু ঠেলে
কতশত দুঃস্বপ্নের স্তূপ ভেঙ্গে,
চলেছি এখন- ধূসর অনাগত পথে,
কত ক্রন্দিত অনুতাপ বুকের পাঁজরে নিয়ে।
আমি জনম অভাগী বলেই !
শত কষ্ট, শত জ্বালা জ্বলছে আমার এ মনে
ভুল না করে জ্বলছি আজ, ভুলের আগুনে।
কোন ভুলে, কিসের অপরাধে আমার জীবন আজ এমন?
ভালো থাকিস, সুখে থাকিস ওরে, নিষ্ঠুর প্রিয় আপনজন
ভুলের মাশুল একদিন তোদেরও দিতে হবে,
তোদের জন্য বিধাতার কাছে নেই কোন মার্জনা!
রচনাকাল : ০১/১২/২০২২
বারহাট্টা