ক্ষুধার জ্বালা বুঝি-রে ভাই
ক্ষুধার পেটে ঘুরি যারা-
আমরা অনাহারী ।

ক্ষুধার জ্বালায়, ঘুরে বেড়াই-
সকাল-বিকাল কিংবা রাত.....!
ভাবি, একটু খাবার কপালে যদি জোটে,
তবে, অনাহারী পেট'টা আমার ভরে ।  

ক্ষুধার্ত, মানুষ  আমরা !
ক্ষুধার জ্বালায়  ঘুরি দ্বারে দ্বারে....!
কিংবা পথের ধারে কুড়িয়ে খাই-
ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট খাবার,
যা দিয়েছে ধনীরা ফেলে।

ক্ষুধার জ্বালায়, হারাই আমরা হুস
করি আমরা কতো কি !
কেউ করি বেশ্যা বেশে, ইজ্জত বিক্রি,
কেউবা করি, চুরি কিংবা ছিনতাই -
আবার কেউ হয়ে যাই, অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসী  ।

ক্ষুধা....ক্ষুধা.... ক্ষুধা...!
আমরা গরীব, আমাদের আছে-
পেটেতে ক্ষুধার জ্বালা,
ধনীদেরও আছে, ক্ষুধা -
কারও ক্ষুধা, টাকা-পয়সার,
কারও বাড়ি-গাড়ির ।

বড় লোকের ক্ষুধা! সেতো আরও বেশি জ্বালা
টাকার পাহাড় গড়েও তাদের -
ক্ষুধা মিটেনাতো ।  
ক্ষুধার জ্বলায়, খায় তারা-
গরীবের জমিজমা, ভিটামাটি গিলে ।

ক্ষুধা মোদের পেটের, ক্ষুধা ঐশ্বর্যের
সব ক্ষুধা কি আর, নিবারণ করা যায় ?
তাইতো, ধনী-গরীব চিরকালই শুধু -
ক্ষুধার জ্বালায়, করে হায় হায়।