আমার কবিতা লিখার অনুপ্রেরণা দিতেন যিনি,
সেই স্বর্গীয় বাবাকে উৎসর্গ :
বাবা !
হৃদয় মাঝে তোমার প্রতিচ্ছবি
আজো দৃশ্যমান !
স্মৃতির জ্বানালায়, নাড়া দেয় মাঝে মাঝে ।
আমার অশ্রুসিক্ত দু'টো চোখ
আজো, তোমায় খোঁজে ।
পড়ন্ত বিকেলের সোনা রোদ
এখন, আর দেখা হয় না,
কখন? বিকেলের গর্ভপাতে
সন্ধ্যা নামে, তা বুঝি না ।
ক্লান্ত পাখিদের, এলোমেলো ঘরে ফেরা
গোধূলিতে মিশে যাওয়া, তোমার নরম স্পর্শ ।
নির্মম বেকারত্ব !
বাসা বেঁধেছিলো, আমার ভাগ্যাকাশে ।
করনি কখনো তিরষ্কার
বরং, সাহস দিয়ে বলতে আমায় -
ধৈর্য ধর খোকা হবে !
তারপর ! কত ধৈর্য, কত ঝড়-ঝঞ্ঝা,
কত পথ হাঁটা....... ।
অবশেষ !
আজ, আমার ভাগ্যাকাশে উঠেছে ঝলমলে চাঁদ
ঘুচেছে বেকারত্ব,
শুধু, তুমি হারিয়ে গেলে -
কালের নির্মম স্রোতে
এক মুঠো ছাঁই হয়ে ।
জানো বাবা !
তোমাকে ভেবে, এখনো আমার
চোখের কোণে দু’ফোটা অশ্রু জমে,
আজ, রুমাল দিয়ে চোখ মুছি
আর মনে মনে বলি –
যেখানেই থাক, ভাল থেকো
বাবা !
আমার আলোকিত জীবন
আজ গর্বিত,
বাবা, শুধু তোমার জন্য
তুমি জগতের অনন্য !