একটু অন্যরকম লিখা লিখলাম । কল্পনায় নিজের অন্তিম ক্ষণ নিয়ে । পড়ে ভাল লাগবে আশাকরি ।  আমার একান্ত কল্পনা থেকে বাস্তব নিয়ে লিখা । ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন, শ্রদ্ধেয় কবিগণ ।
*****************************

সময়ের নিষ্ঠুর স্রোতে অনেকটা সময় গেল চলে
দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল-অনেকটা সময়!
অবশেষ! এবার অন্তিম যাত্রার ক্ষণ উপস্থিত,
বাবা-মায়ের ভালবাসার দেয়া নাম পাল্টে-
হয়েছে 'লাশ' নামে নতুন পরিচয়.........!
অন্তিম শয্যায় শুয়ে আছি, নিথর নিস্তব্ধ দেহে।  

এক নজর দেখতে, লাশের পাশে ছুটে আসবে
বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী।

হিন্দু শাস্ত্রের কঠোর বিধানে, এখন আমি অশুচি লাশ
ছোঁবে না কেউ আমায়, দূর থেকে সমবেদনা জানাবে সকলে
স্পর্শ করবে শুধু আত্মীয়-স্বজন আর একান্ত আপনজন।  

সাত বছর আগে, হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম নীতি মেনে
সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে স্ত্রীর মর্যাদায়-
বধূ বরণ করে এনেছিলাম ঘরে,
দাম্পত্য জীবনে জড়িয়ে আছে, কতশত স্মৃতি।

কত রাগ, কত অভিমানে কাটিয়েছি দিন-রাত
তিলে তিলে গড়ে তোলা কত মধুর সম্পর্ক-
সুখ-দুঃখ, রাগ-অভিমান.....!
অবসান হবে সব আজ, জীবন-মৃত্যুর নিষ্ঠুর খেলায়।

ভালবেসে নিজ হাতে- যে সিঁথি সিঁদুর রঙে রাঙিয়ে ছিলাম
বাস্তবের নিষ্ঠুরতায় সিঁথির সে সিঁদুর টুকু -
কেড়ে নেব আজ চিরতরে।

আর মাত্র কিছুক্ষণ পর, নিজের বাড়ি, নিজের ঘর ছেড়ে
স্থান হবে শ্মশান ঘাটের চিতা,
চিতার আগুনে জ্বলে পুড়ে, একমুঠো ছাই হয়ে-
মিশে যাবো আকাশের ঠিকানায়।  

সময়ের স্রোতে সবার মন থেকে, বিলীন হয়ে যাবে সব স্মৃতি
শুধু তুমিই আমার স্মৃতি আঁকড়ে কাঁদবে প্রতিক্ষণ।

শেষ বিদায়ের আগে শুধু একটুকু জেনে রেখো
তোমার দুর্ভাগ্যের পাশে ছায়া হয়ে, থাকবো চিরকাল !

রচনাকাল
২০।০৯।২০২২