আমি বাংলাদেশ, আমার বুকে
সবুজ-শ্যামল স্নিগ্ধ ছায়ায় ঘেরা ছিল,
আমার মমতার পরশে রক্ত পলাশ আর
কোকিলের কুহু তানে-
প্রকৃতিতে বসন্তের বারতা নিয়ে আসতো।
আমার ছিল স্নিগ্ধতা, সৌন্দর্য আর শুভ্রতা
ছিল চারিদিকে আনন্দের হিল্লোল,
বর্ষায় আকাশ জুড়ে ছিল, কালো মেঘের ঘনঘটা
থৈথৈ জলে, জমে উঠতো ঢেউ-বাতাসের খেলা।
স্নেহ ভরা শরতের মায়াময় রৌদ্রের কিরণে
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে-
প্রকৃতির স্নিগ্ধতা নিয়ে, ঋতু রানী আসতো আমার তরে।
অগ্রহায়ণের রূপালী পূর্ণিমা রাতে
ঝলমলে জোছনার স্নিগ্ধতা লুটিয়ে পড়তো
কৃষকের কষ্টে বুনা, সোনালি ফসলের মাঠে।
রূপসী বাংলার বুক থেকে, হারিয়ে গেছে আজ
স্নিগ্ধতা, সৌন্দর্য, আর শুভ্রতা
হারিয়ে গেছে আনন্দ হিল্লোল।
যেদিকে তাকাই শুধু কান্না আর
ক্ষুধার্তের আর্ত হাহাকার,
অসহায় মায়ের কোলে, অনাহারী শিশুর কান্না
বাঁশির ঝঙ্কারে আজ, বাজে শুধু বেদনার সুর।
চাঁদের হাসিতেও কালো মেঘের বিষাদের ছায়া
জোছনার আলোতেও আঁধারের ঘনঘটা,
সূর্যাস্তের সৌন্দর্যও আজ মলিন,
হারিয়ে গেছে আজ, সকল মায়ার বাঁধন।
রচনাকাল : ০৫/০১/২০২৩
বারহাট্টা, নেত্রকোনা ।