শিশু টির দুটি নেত্রে জলধারা আর চিবুকের বিস্মিত হাসির সম্মুখে দাড়িয়ে সকল অপরাধের শাস্তির পীরা ভোগ হয়ে গেছে পিতার ।
এ যন্ত্রনা অসহনীয় ওকে থামতে বলো।
এ জলধারা আর হাসিতে ছারখার হবে সব।
নগরী মাতাও জ্বলছে,  জলন্ত আগুনের ধূসর ধোঁয়া অন্তরিক্ষে মিলিয়ে যাচ্ছে।
হে দৃশ্যমান অন্তরিক্ষ তুমি কি পারোনা প্রসন্ন চিত্তে জলধর কে নির্দেশ দিতে বর্ষণের ।
আমি অপারক হে ব্যার্থ জন্মদাতা,
আমি শুধু তার দাসত্ব করি মহাকাল যার দাস।
অহে পবন আপন গতিবেগে দাও না নিভায়ে এ অগ্নি জ্বলন।
অবশ্যই পারি লন্ডভন্ড করে দিতে এ জগত যদি পাই তার নির্দেশ।
যার নির্দেশ বিনা সামর্থহীন সময়।
হে বসুমতী সবাই মুখ ফিরায়ে নিলো তবে কি বিধ্বংসী কারি সন্তানের জন্ম দানের অপরাধের পীরা বহন করবে এ জগৎ সংসার।
অহে পিতা অহমিকা, ক্রোধ, হিংসা,অবাধ্যতা আর পাপের বহু মিলনে জন্ম এই শীশুর যার জন্মদাতা তুমি।

-অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ "মহাকাল" থেকে