কবির !
তুমি ভালো আছো তো ?
খাওয়াদাওয়া ঠিক থাক করছো তো ?
রোজ রাতে এক বুক কান্না ভেজা গলায়
একা বসে থাকো না তো আর ?
মাঝে মাঝে ছেলেমানুষী করে ফেলো।
একটু সাবধানে চলো
ভীষণ গরমে জল খেও বেশী করে।
মাথা ব্যথার ব্যামো টা কমেছে?
চশমার পাওয়ার কতটা বাড়লো গো ?
কবির......
তুমি ভালো আছো তো ?
আমি বেশ আছি
হতভাগিনী তোমার নামের কলঙ্কিনী
জপি তোমার নাম আর কি।
কবির তুমি এখনো তরুণ তুর্কি
নাকি রূপালী চুলে ভরা মাথা।
কতকাল তোমায় দেখিনি ,
আমার কল্পনার ক্যানভাসে শুধু
কাটাকাটির খেলা চলে দিবারাত্রি।
কোনো রঙেই তোমায় রাঙাতে পারিনি।
তোমার পিরিতি আজও ভাঙতে পারিনি।
ভাঙ্গে শুধু আয়না , শত টুকরা।
মনোরোগ হৃদরোগে ভাপসে গেছি ,
অপেক্ষার অবসান হয় হয় !
সাক্ষাৎ নির্ঘাত অতি অবশ্যই,
টিক টিক কাটা ঘুরছে সময় ফুরিয়ে এলো।
আমি ও ফুরিয়ে যাচ্ছি।
ফুরায়নি তোমার স্মৃতি গুলো।
আর কয়েক পা গেলেই
তোমার বাড়ির দক্ষিণে কবরস্থান।
দেবদাসের মতো
তোমার বাড়ির দরজায় গিয়ে
মরতে চাইনা আমি।
কলঙ্ক একান্ত আমারই থাক।
মরে তোমার দরজার সামনে যেতে চাই।
সামিল হয়ো জানাজায়।
ইতি
কবিরের কলঙ্কিনী।